১৩ বছর আগে পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহে সেনা কর্মকর্তাদের হত্যা নিয়ে বিভিন্ন সময় উঠেছে নানা প্রশ্ন। হত্যার বিচার হলেও এর নেপথ্যে কারা তা পর্দার আড়ালেই রয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করলে জানা যায়নি সঠিক কারণ।
নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘিরে ওঠা সব প্রশ্নের অবসান চান জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের। সবাইকে তাদের কৃতকর্মের জন্য জবাবদিহির আওতায় আনা উচিত বলেও মনে করেন তিনি।
রাজধানীর বনানীতে সামরিক কবরস্থানে শুক্রবার বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় নিহত সেনা কর্মকর্তাদের কবরে শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। বিডিআর বিদ্রোহ ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দুটি ফৌজদারি মামলা দায়ের হলেও গত ১৩ বছরে একটিরও চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হয়নি।
এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত হয়েছে জানিয়ে জিএম কাদের বলেন, ‘বিচারকার্য হয়েছে। আমরা বিচারকার্যটাকে ভালো চোখে দেখি। হওয়া দরকার হয়েছে। এখনো জাতির সামনে কিছু প্রশ্ন, সাধারণভাবে বিভিন্ন সময়ে মানুষের মুখে আলোচনায় শুনতে পাই। সেগুলো হলো- এত বড় একটা ঘটনা ঘটে গেল, এটা তো হঠাৎ করে হয় নাই।'
এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে কেউ না কেউ ছিল দাবি করে সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা বলেন, ‘অনেক দিন কিছু না কিছু কর্মকাণ্ড ছিল। ইন্টেলিজেন্স বা গোয়েন্দা বাহিনীর সদস্যরা সেটা কেন আঁচ করতে পারলেন না। আঁচ করতে যদি পেরে থাকেন, তাহলে যাদের হাতে প্রতিরোধ ব্যবস্থা ছিল তারা কেন প্রতিরোধ করলেন না।
‘এই বিষয়গুলো সাধারণভাবে জনমনে একটা সংশয় এবং বেদনার সৃষ্টি করে। আমরা মনে করি এসব প্রশ্নের অবসান হওয়া উচিত।’
দেশে জবাবদিহি নেই দাবি করে তিনি বলেন, ‘বিশেষ করে সশস্ত্র বাহিনীতে যাদের হাতে অস্ত্র থাকে, জবাবদিহির অভাবে অনেক অঘটন ঘটে যায়। এখানে শৃঙ্খলা রক্ষা যেমন দরকার, তেমনি শৃঙ্খলা রক্ষায় কার কী দায়িত্ব, সেই জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়াসহ অনেকে।