ঢাকার সাভারে গত তিন দিনে গণটিকা কার্যক্রমে জনস্রোতে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা হলেও স্বস্তি ফিরেছে শুক্রবার।
সকাল থেকে সাভারে বাংলাদেশ হেলথ ম্যানেজমেন্ট সেন্টারে টিকা নিতে আসা পুরুষদের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে। তবে গত তিন দিনের মতো হাজার হাজার মানুষের ভিড়ে বিশৃঙ্খলার চিত্র চোখে পড়েনি। এ সময় পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবী সদস্যদের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে কাজ করতে দেখা গেছে।
প্রশাসনের উপস্থিতিতে সুষ্ঠুভাবে টিকাদান সম্পন্ন হচ্ছে বলে জানিয়েছেন টিকাপ্রত্যাশীরা।
সাভার পৌরসভা কেন্দ্রে টিকাপ্রত্যাশীদের দীর্ঘ সারি দেখা গেলেও অধর চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নারীদের উপস্থিতি ছিল একেবারেই কম।
টিকা নিতে আসা আশুলিয়ার কাঠগড়া এলাকার টেক্সটাউন গার্মেন্টসের শ্রমিক সাখাওয়াত হোসেন সুষ্ঠুভাবে টিকা দিতে পেরে খুশি।
বিশৃঙ্খলা ছাড়াই টিকা নিচ্ছেন সবাই। ছবি:নিউজবাংলা
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আজ গার্মেন্টস ছুটি থাকায় ১০টার দিকে টিকা দিতে আসছি। লাইনে ৩০ মিনিটের মতো দাঁড়ায় থাকতে হইছে। কোনো ঠ্যালাঠেলিও হয় নাই। সুন্দরভাবে টিকা দিতে পারছি।’
টিকা দিতে এসে শিমুল চন্দ্র বলেন, ‘গত কয়েক দিন অনেক মানুষের ভিড়ের কারণে টিকা না দিয়েই ফিরে গেছিলাম। আজ অল্প সময়ের মধ্যে ভালোভাবে টিকা দিতে পারছি। টিকা কার্ডে তারিখ ও টিকার নাম উল্লেখ করা হইছে। আগে যারা দিছে আমার সঙ্গে কাজ করছে, তাদের অনেকের এগুলো ছিল না।’
আসমা খাতুন বলেন, ‘আজ কোনো ভিড় হয় নাই। অনেক তাড়াতাড়ি টিকা দিতে পারছি আমি।’
সাভার মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আতিকুর রহমান রাসেল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গত দুই-তিন দিন আমি বাংলাদেশ হেলথ ম্যানেজমেন্ট সেন্টারে দায়িত্ব পালন করেছি। এই কয় দিন মানুষের ভিড় সামাল দিতে অনেক হিমশিম খেতে হয়েছে।
‘কেন্দ্রের ভেতর টিকার গেট খুলে দিলেই মানুষের জনস্রোত সামলানো মুশকিল ছিল অনেক। আজ মানুষ শৃঙ্খলা মেনে লাইনে দাঁড়িয়ে টিকা নিচ্ছেন। আজ পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবী সদস্যরাও বেশি কাজ করছেন।’
সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সায়েমুল হুদা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আজকের পরিস্থিতি খুব সুন্দর ও সুশৃঙ্খল। সবাই আনন্দের সঙ্গে টিকা দিতে পারছেন। আমাদের কোনো কর্মী আহত হন নাই। যারা টিকা দিতে আসছেন তারাও হুড়োহুড়ি করছেন না। আমি আনন্দিত যে সাভারবাসী এত সুন্দরভাবে টিকা দিচ্ছেন।
‘গত পাঁচ দিনে আমরা প্রায় দেড় লক্ষাধিক মানুষকে ভ্যাকসিন দিয়েছি, যা আমাদের জন্য খুব কঠিন একটা কাজ। উপজেলায় প্রায় ৯ কেন্দ্রের ১০৩ বুথে টিকা দিচ্ছি। মহিলাদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা করেছি। ডিজি (নার্স) থেকে ৬০ জন নার্স দেয়া হয়েছে। ডিজি, সিভিল সার্জন ও ব্র্যাকসহ সবার সহযোগিতায় আমরা মাস্টারপ্ল্যানে কাজ করছি।’