যশোরের মনিরামপুরে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় এক বৃদ্ধকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মনিরামপুর থানার এসআই আশরাফুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় তাহেরপুর এলাকা থেকে ৫০ বছরের আব্দুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এর আগে দুপুরে ওই ব্যক্তির নামে থানায় মামলা করেন ছাত্রীর বাবা। এর পরপরই পুলিশ আব্দুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে।
জানা যায়, আব্দুর রহমান তাহেরপুর গ্রামের আল আমিন পার্কের মালিক। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই ছাত্রীকে পার্কের একটি ঘরে নিয়ে তিনি ধর্ষণ করেন। ১৪ বছরের ওই কিশোরীর পরিবার পার্কের পাশের একটি বাড়িতে ভাড়া থাকে। তার বাবা দিনমজুর এবং মা পাটকলের শ্রমিক।
এজাহারে বলা হয়, প্রতিবেশী হওয়ায় ওই কিশোরী বৃদ্ধের পূর্বপরিচিত। প্রায়ই কিশোরীর সঙ্গে কথা বলতেন তিনি। বাবা-মা বাড়িতে না থাকার সুবাদে মেয়েটিকে লোভ দেখিয়ে গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় পার্কের ভেতর ডেকে নিয়ে যান। এরপর পার্কের একটি কক্ষে তাকে ধর্ষণ করেন।
এ ঘটনার পর আব্দুর রহমান কিশোরীকে ঘটনা ধামাচাপা দিতে ভয়ভীতি দেখান। খুনেরও হুমকি দেন।
এরপর গত শুক্রবার দুপুরে আব্দুর রহমান আবারও ওই কিশোরীকে একইভাবে ওই ঘরে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করলে মেয়েটির চিৎকার শুনে তার মা এগিয়ে গিয়ে মেয়েকে উদ্ধার করেন।
তাহেরপুর ওয়ার্ডের পৌর কাউন্সিলর আসাদুজ্জামান বলেন, ‘গত বুধবার মেয়েটিকে নিয়ে তার পরিবার আমার কাছে এসেছিলেন। তারা সবকিছু খুলে বলে বিচার দাবি করেন।
‘আমি তাদের আইনের আশ্রয় নিতে পরামর্শ দিয়েছি। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য মেয়েটি আমাদের হেফাজতে আছে।’