বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নির্বাচনি সহিংসতায় যুবকের মৃত্যু, গ্রেপ্তার ১

  •    
  • ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১০:০৭

ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল কাদের মিয়া বলেন, ‘তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা নিয়েও আসামিদের অবস্থান শনাক্ত করা যাচ্ছে না। তবে, আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যেই আসামিদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।’

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতায় পাভেল নামে এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

গ্রেপ্তার রমজান আলী উপজেলার গাতীপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ময়মনসিংহ র‌্যাব-১৪ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

এর আগে বেলা ১১টার দিকে জেলার ভালুকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ময়মনসিংহ র‌্যাব-১৪ সদর দপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন জানান, সপ্তম ধাপের নির্বাচনে গত ৭ ফেব্রুয়ারি ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে ভোট হয়। এর মধ্যে বড়হিত ইউপির ৯ নম্বর ওয়ার্ডে সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন রঘুনাথপুর গ্রামের মতিউর রহমান বাচ্চু ও মোহাম্মদ আলী।

প্রার্থী বাচ্চুর পক্ষে কাজ করেন একই গ্রামের নূরুল আমীন ও মোহাম্মদ আলীর পক্ষে কাজ করেন নূরুল আমীনের প্রতিবেশী সালাম। এ নিয়ে ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলীসহ তার কর্মী সালামের সঙ্গে আমীনের দ্বন্দ্ব হয়।

ভোটে প্রার্থী মোহাম্মদ আলী জয়ী হলে পরদিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নির্বাচিত ইউপি সদস্যের সমর্থক সালাম ও রমজান আলীসহ লোকজন আমীনের ওপর হামলা চালান।

খবর পেয়ে আমীনের পরিবারের লোকজন আসলে আমীনসহ তার ছেলে পাভেল, ভাই রইস উদ্দিন, রইসের স্ত্রী ও জুয়েল মিয়াকে পিটিয়ে আহত করা হয়।

তাদের মধ্যে জুয়েল মিয়া ছাড়া অন্যদের ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে গত ৯ ফেব্রুয়ারি দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পাভেলের মৃত্যু হয়।

তিনি বলেন, ‘মৃত্যুর ঘটনায় গত ১০ ফেব্রুয়ারি নিহত পাভেলের বাবা নূরুল আমীন একটি হত্যা মামলা করেন। এতে নির্বাচিত ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলীসহ ৯ জনকে আসামি করা হয়েছে।

‘এরপর থেকে পলাতক আসামিদের ধরতে অভিযানে নামে র‌্যাব। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রমজান আলীর তথ্য পেয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।’

এ বিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের মিয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মামলার পর থেকে আসামিরা বাড়িতে থাকছেন না। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা নিয়েও তাদের অবস্থান শনাক্ত করা যাচ্ছে না। তবে, আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যেই আসামিদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর