যশোর থেকে প্রকাশিত দৈনিক কল্যাণ পত্রিকার শার্শা উপজেলা প্রতিনিধি মেহেদী হাসান মোল্লা ও তার বাবা আজিজুর রহমানকে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা।
গোড়পাড়া বাজারে ওই সাংবাদিকের ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান নূর ডেকোরেটারে বৃহস্পতিবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় দুর্বৃত্তরা তার প্রতিষ্ঠানের মালামাল ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করেছে বলে জানা গেছে।
গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা বাবা-ছেলেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের যশোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
জানা যায়, ঘটনার দিন বিকেলে মেহেদী তার বাবার সঙ্গে চায়ের দোকানে বসে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলছিলেন। এ সময় এলাকার সুমন হোসেন, ফাইমুর, রাব্বি, সোহেল ও নুরুদ্দীনের নেতৃত্বে ১৫ থেকে ১৬ জনের একটি দল দেশীয় ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে তাদের ওপর অতর্কিত হামলা করে।
গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার পক্ষে সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ ও মেহেদী সমর্থন করে কাজ করায় নির্বাচিত চেয়ারম্যান সেলিম রেজা বিপুলের নির্দেশে তার সমর্থকরা এ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
নিজামপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘নৌকা প্রতীকের প্রতি একাত্মতা ঘোষণা করে নির্বাচন থেকে সরে এসেছিলাম। কিন্তু আমার সঙ্গে কাজ করায় আমার সমর্থকদের মেরে ফেলার চেষ্টা চলছে।
‘বাড়ি থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন আমার ও নৌকার পক্ষে কাজ করা কর্মীরা। তাই প্রশাসনের কাছে এ ঘটনার সঠিক তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।’
এ বিষয়ে বর্তমান চেয়ারম্যান সেলিম রেজা বিপুল বলেন, ‘শুনেছি গোড়পাড়া বাজারে সাংবাদিক মেহেদী হাসান হামলার শিকার হয়েছেন।’
তবে অভিযোগের ব্যাপারে তিনি তেমন কিছু বলেননি।
শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন খান বলেন, ‘এখনও কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’