বরিশালের বাবুগঞ্জে নিজ ঘর থেকে দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে এক মাস পর।
বাবুগঞ্জের বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নে নিজ বাড়িতেই বৃহস্পতিবার মারা যায় ওই মাদ্রাসাছাত্রী।
বাবুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধারের পর মেয়েটিকে প্রথমে শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল ও পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। তবে চিকিৎসার খরচ মেটানো সামর্থ্য নেই জানিয়ে পরিবার মেয়েকে বাড়ি নিয়ে যায়। সেখানেই অসুস্থ হয়ে মেয়েটি মারা যায়।
পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, স্থানীয় বখাটের উত্যক্ত ও হুমকি-ধামকির কারণে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যা করতে যায় মেয়েটি।
এ ঘটনা গত ২১ জানুয়ারির।
মেয়ের মা অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার মেয়েকে পাশের ঠাকুরমল্লিক গ্রামের বখাটে রাকিব ফকির দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। আমার মেয়ে ওই প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় রাকিব বিভিন্ন ধরনের যৌন হয়রানি করে আসছিল।
‘আমার মেয়ে পুরো ঘটনাটি আমাকে জানানোর পর রাকিবের পরিবারের সদস্যদের কাছে বিচার দাবি করা হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রাকিব যৌন হয়রানির মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেয়।’
মেয়েটির মা আরও বলেন, ‘গত ২১ জানুয়ারি আমি রাকিবের বাড়িতে গিয়ে রাকিবকে শেষবারের মতো শাসিয়ে আসি। আইনের আশ্রয় নেয়ার হুমকি দেই। এতে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে রাকিব মোবাইল ফোনে আমার মেয়েকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের হুমকি দেয়। অভিমান করে ওইদিন বিকেলে আমাদের অজান্তে সে নিজ ঘরে বসে শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।’
শের-ই-বাংলা মেডিক্যালের পরিচালক এইচ এম সাইফুল ইসলাম জানান, কিশোরীর শরীরের প্রায় ৬০ ভাগ পুড়ে গিয়েছিল।
মেয়ের পরিবারের অভিযোগের বিষয়ে জানতে রাকিবের বাড়িতে গিয়ে তাকে বা তার পরিবারের কাউকে পাওয়া যায়নি। রাকিবের মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া গেছে।
বাবুগঞ্জ থানার ওসি মাহবুবুর জানান, রাকিবকে ধরতে অভিযান চলছে।