করোনাভাইরাস সংক্রমণে তৃতীয় ঢেউয়ের কারণে এবার অমর একুশে বইমেলা আয়োজন হবে কীনা তা নিয়েই শঙ্কা ছিল। সেই শঙ্কা কাটিয়ে নির্ধারিত সময়ের ১৪ দিন পর ১৫ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়েছে মেলা। শুরু থেকেই ক্রেতা-দর্শনার্থীর পদচারণায় মেলা প্রাঙ্গণ মুখর থাকলেও বন্ধ ছিল শিশুপ্রহর।
করোনা পরিস্থিতি আরেকটু স্বাভাবিক হয়ে আসায় সেই অপেক্ষারও অবসান হচ্ছে। শুক্রবার মেলায় থাকছে এবারের আয়োজনে প্রথম শিশু প্রহর। সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চলবে এই শিশুপ্রহর। এ সময়ে বিশেষত শিশুরা অভিভাবকদের হাত ধরে মেলায় প্রবেশ করতে পারবে।
নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বইমেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ও বাংলা একাডেমির পরিচালক জালাল আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘আমরা এই সময়টাতে অন্যদেরকে মেলায় প্রবেশে অনুৎসাহিত করি। তবে এমন নয় যে কেউ এলে তাদেরকে মেলায় প্রবেশ করতে দেয়া হয় না। শিশু প্রহরের উদ্দেশ্যই থাকে- এই সময়টা শিশুরা তাদের মতো করে মেলায় কাটাক।‘
মেলা ঘুরে দেখা যায়, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শিশু চত্বরের পূর্বপাশে তৈরি করা হচ্ছে শিশুদের খেলার মঞ্চ।
জালাল আহমেদ জানান, প্রতিবছরের মতো এবারও বাংলা একাডেমির সঙ্গে সমন্বয় করে এই মঞ্চ তৈরি করেছে প্রকাশনা সংস্থা সিসিমপুর।
প্রতিদিন বেলা ২টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকছে বইমেলা। অবশ্য ছুটির দিনে সকাল ১১টায় শুরু হয়ে রাত ৯টা পর্যন্ত চলে মেলা।
বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের অংশ মিলিয়ে মেলার মোট আয়তন প্রায় সাড়ে সাত লাখ বর্গফুট। রয়েছে ৩৫টি প্যাভিলিয়ন। এ ছাড়া একাডেমি প্রাঙ্গণে ১০২টি প্রতিষ্ঠানকে দেয়া হয়েছে ১৪২টি স্টল।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৪৩২টি প্রতিষ্ঠান পেয়েছে ৬৩৪টি স্টল। সব মিলিয়ে এবার মেলায় অংশ নেয়া সংস্থার সংখ্যা ৫৩৪টি।