ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে দুই পক্ষকে সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ। ঢাকা মনে করে, এই সংঘাত কেবল দুই দেশ নয়, গোটা অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করবে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এক প্রেসনোটে এই প্রতিক্রিয়া জানায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোতে ইউক্রেনের যোগদান ইস্যুকে কেন্দ্র করে গত কয়েক মাস ধরেই সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত দেশটিকে ঘেরাও করা শুরু করে রাশিয়ার সেনাবাহিনী।
আক্রমণের ইচ্ছা নেই- রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এমন আশ্বাস দিলেও বৃহস্পতিবার সকালে সামরিক শক্তির দিক থেকে বিশ্বের দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা দেশটি ১৪টি এলাকা দিয়ে ইউক্রেন সীমান্তে প্রবেশ করে। সেই সঙ্গে চালায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা।
সামরিক শক্তির দিক থেকে অনেকটাই পিছিয়ে থাকা ইউক্রেন আপাত দৃষ্টিতে বেকায়দায় থাকলেও পশ্চিমা দেশগুলো আগে থেকেই তার পক্ষে আছে। যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ফ্রান্সসহ পরাশক্তিগুলো ইউক্রেনের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়ে রেখেছে।
এই অবস্থায় বিশ্বের শক্তিশালী দেশগুলোর মধ্যে আবার যুদ্ধ বেধে যায় কি না, তা নিয়ে শঙ্কার কথাও বলাবলি হচ্ছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রেসনোটে বলা হয়, ‘ইউক্রেনের সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।’
আলোচনার টেবিলে বসে বিরোধ মীমাংসার আহ্বানও জানায় ঢাকা। প্রেসনোটে বলা হয়, ‘এই ধরনের সহিংসতা গুরুতরভাবে সমগ্র অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রভাবিত করবে। অতএব, আমরা কূটনীতি এবং সংলাপে ফিরে আসার মাধ্যমে এই সংকট সমাধানে সর্বাধিক সংযম এবং প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার জন্য সব দলকে অনুরোধ জানাই।’
ইউক্রেনে অবস্থানকারী বাংলাদেশিদেরকে নিরাপদে দেশে ফেরানোর পরিকল্পনার কথাও উল্লেখ করা হয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রেসনোটে। এতে বলা হয়, ‘আমরা ইউক্রেনের বাংলাদেশ নাগরিকদের একটি নিরাপদ স্থানে স্থানান্তরিত করতে এবং পোল্যান্ডে প্রয়োজনে জিজ্ঞাসা করেছি।
‘পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পোল্যান্ডে বাংলাদেশের দূতাবাসের সাথে ঘনিষ্ঠ সমন্বয় বজায় রেখেছে। বাংলাদেশে তাদের অবিলম্বে প্রত্যাবর্তনের জন্য আমরা আটকা পড়া বাংলাদেশিদের প্রতি সমর্থন জানিয়েছি।’
প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার সমন্বয় করার জন্য ওয়ারশতে বাংলাদেশ দূতাবাস ইতিমধ্যে অতিরিক্ত লোকবল নিয়োগ করেছে বলেও জানানো হয়েছে। প্রত্যাবাসনের জন্য সব কনস্যুলার থেকে সহায়ক খরচ বিনা মূল্যে দেয়া হবে।