ভোলার দৌলতখানে মেঘনা নদীতে তাসরিফ-২ লঞ্চের ধাক্কায় ট্রলারডুবির ঘটনায় দুই জেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
এই ঘটনায় মো. মমিন নামের এক জেলে নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
বুধবার রাত ২টার দিকে দৌলতখানের চৌকিঘাটের কাছে মেঘনা নদীতে ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে।
উপজেলার চরপাতা ইউনিয়নের চরপাতা গ্রামের বেড়িবাঁধ এলাকার মো. নাগর মালের ছেলে মো. এরশাদ এবং একই গ্রামের মালেক ভান্ডারির ছেলে মো.আকবরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
দৌলতখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজলার রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
বৃহস্পতিবার সকালে নিখোঁজদের সন্ধানে নদীতে নামে কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোন, দৌলতখান ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ। দুপুরে নিখোঁজ দুই জেলের মরদেহ মেঘনার কাজীর হাট এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়।
ট্রলারমালিক আব্দুর রহমান জানান, বুধবার রাতে ৯ জেলেকে নিয়ে মাছ ধরার ট্রলারটি মেঘনার চৌকিঘাট এলাকায় য়ায়। সেখানে জেলেরা জাল ফেলেন। এ সময় তাসরিফ-২ লঞ্চের ধাক্কায় ট্রলারটি দুমড়ে-মুচড়ে ডুবে যায়। ছয় জেলে সাঁতরে তীরে উঠলেও তিন জেলে নিখোঁজ হন। দুপুরে কোস্টগার্ড ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা দুজনের মরদেহ উদ্ধার করেন।
দৌলতখান ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার মিজানুর রহমান জানান, দুপুরে নদীর পাড়ে দুই জেলের মরদেহ স্বজনরা শনাক্ত করেন। পরে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ।
দৌলতখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজলার রহমান জানান, তাসরিফ-২ লঞ্চের বিরুদ্ধে ট্রলারমালিকের মামলার প্রস্তুতি চলছে।দৌলতখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ তারেক হাওলাদার জানান, লঞ্চের ধাক্কায় মেঘনা নদীতে ট্রলারডুবিতে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের পরিবারকে সহায়তা দেয়া হবে। নিখোঁজ একজনকে উদ্ধারে অভিযান চলছে।
ডুবে যাওয়া ট্রলারটি তোলা হয়েছে বলে জানান ইউএনও।