কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় আওয়ামী লীগ নেতা সিদ্দিকুর রহমান মণ্ডলকে গুলি করে হত্যা মামলার পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে র্যাব-১২। হত্যায় ব্যবহৃত দুটি আগ্নেয়াস্ত্রও উদ্ধারের দাবি করেছে বাহিনীটি।
১৮ ফেব্রুয়ারি সকালে ভেড়ামারার চাঁদগ্রামে প্রতিপক্ষের গুলিতে খুন হন ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান মণ্ডল।
বৃহস্পতিবার বেলা ২টার দিকে কুষ্টিয়া র্যাব কার্যালয়ে প্রেস বিফ্রিংয়ে কোম্পানি কমান্ডার ইলিয়াস খান বলেন, ‘হত্যার পর থেকে আসামি ধরতে টানা পাঁচ রাত নির্ঘুম কাজ করেছেন র্যাব সদস্যরা। হেড অফিসের গোয়েন্দা বিভাগের সহায়তাও নিয়েছেন তারা। অবশেষে বুধবার রাতে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মিন্টু মালিথা, রনি মালিথা, জনি, ড্যানি ও জারমান প্রামাণিককে গ্রেপ্তার করা হয়।
‘তাদের মধ্যে জনি ও ড্যানি আপন ভাই। আর মিন্টু ও রনি গুলি করে সরাসরি হত্যায় অংশ নেয় বলে শিকার করেছে। তাদের তথ্যমতে, হত্যায় ব্যবহৃত দুটি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করে র্যাব।’
তিনি জানান, এসব অস্ত্র তারা আগে থেকে বহন করত না। হত্যার জন্য সংগ্রহ করেছিল। কার কাছ থেকে এই অস্ত্র সংগ্রহ করেছিল এসব নিয়েও কাজ করছে র্যাব। তদন্ত করে সে বিষয়টিও পরিষ্কার করা হবে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এ ঘটনায় রাজনৈতিক কোনো সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ার কথা জানিয়ে র্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়, মণ্ডল ও মালিথা গ্রুপের দীর্ঘদিনের বিরোধের কারণেই হত্যার ঘটনা বলে তারা ধারণা করছে।
স্কোয়াড্রন লিডার ইলিয়াস খান বলেন, ‘জমিজমা নিয়ে এই দুই গ্রুপের মধ্যে পাঁচ দশক ধরে বিরোধ চলছে। এ ছাড়া হত্যার আগের দিন ক্যানেলে মাছ চাষ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়।’
হত্যা মামলায় জাসদ নেতা আব্দুল আলীম স্বপন ও তার ভাই চাঁদগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হাফিজ তপনকে ১ ও ২ নম্বর আসামি করা হয়। এ নিয়ে ভেড়ামারায় আওয়ামী লীগ ও জাসদের মধ্যে উত্তেজনা চলছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ইলিয়াস খান বলেন, ‘আমরা হত্যার শিকার যিনি বা যারা হত্যায় অভিযুক্ত তাদের রাজনৈতিক পরিচয় মুখ্য হিসেবে ধরছি না। আর যাদের আটক করা হয়েছে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারাও কোনো রাজনৈতিক নেতার নাম বলেনি।
তিনি বলেন, ‘র্যাব শুধু আসামিই ধরে দেয়নি, হত্যার পর এলাকায় চলমান উত্তেজনা প্রশমনেও কাজ করছে।’