চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত পাঁচ বন্ধুর মরদেহ অবশেষে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শাহরাস্তি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল মান্নান৷
তিনি বলেন, চাঁদপুর পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে সবকিছু পরিষ্কার জানিয়েছেন।
বেলা ১১টায় সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার বলেন, চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলায় গত মঙ্গলবার মধ্যরাতে একটি প্রাইভেট কার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুকুরে পড়ে পাঁচজনের মৃত্যু হয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ ও প্রাইভেট কারটি উদ্ধার করে পুলিশ। উদ্ধারকৃত প্রাইভেট কারে একটি হুইস্কির বোতল পাওয়া যায়।
তিনি আরও জানান, উদ্ধার শেষে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ হস্তান্তরের দাবি জানান নিহতের স্বজনরা। এ পদ্ধতির জন্য কিছু আইনি প্রক্রিয়া থাকায় তাদের সময় দেয়া হয়েছিল, যাতে তারা এডিএম বরাবর আবেদন করে অনুমতিপত্র নিয়ে আসতে পারেন।
তাদের জন্য দুপুর পর্যন্ত অপেক্ষার পর তারা অনুমতি আনতে ব্যর্থ হলে ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। তবে এ বিষয়ে তাদের সঙ্গে পুলিশ বারবার যোগাযোগ করেছে, কারণ আইনি প্রক্রিয়া অবশ্যই সম্পন্ন করতে হবে।
পুলিশ কর্মকর্তা জানান, এর মধ্যেই পুলিশ উঘারিয়া তদন্ত কেন্দ্র থেকে মরদেহগুলো নিয়ে রওনা হলে চিতোষী পূর্ব বাজারে পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে একটি দল ইটপাটকেল ছোড়ে। এতে দুজন পুলিশ সদস্য সামান্য আহত হন।
তখনই উত্তেজিত জনতার ছত্রভঙ্গ করতে শটগানের ১৭টি ফাঁকা গুলি ছোড়ে পুলিশ। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ নিহতের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলেও জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) সুদীপ্ত রায়, সহকারী পুলিশ সুপার (মতলব সার্কেল) ইয়াসির আরাফাত, ডিআইও ওয়ান মনিরুল ইসলামসহ পুলিশের অন্য সদস্যরা।
মরদেহ হস্তান্তরের বিষয়ে মনোহরগঞ্জ উপজেলার হাসনাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. কামাল হোসেন বলেন, ‘তিন ছাত্রলীগ নেতার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বিকেল ৫টার দিকে তাদের পারিবারিক কবরস্থানে সমাহিত করা হবে।
‘যশোরের নয়ন ও গাজীপুরের সাগরের মরদেহ তাদের বাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন স্বজনরা।’