সারাদেশে ভাসমান জনগোষ্ঠীদের করোনা টিকার এক কোটি ডোজ দেয়ার প্রস্তুতির অংশ হিসেবে খাগড়াছড়িতে গণটিকা কার্যক্রম চলছে।
খাগড়াছড়ি জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও পৌরসভার উদ্যোগে মুক্তমঞ্চ ও পৌরসভা কার্যালয়ের দুইটি অস্থায়ী কেন্দ্রে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে এ কার্যক্রম শুরু হয়। দিনব্যাপী এটি চলবে বলে জানা গেছে।
আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি স্থায়ী ও অস্থায়ী কেন্দ্রে প্রথম ডোজ, দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজ দেয়া হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
দুইটি অস্থায়ী কেন্দ্রে চলছে গণটিকার কার্যক্রম। ছবি: নিউজবাংলা
এ দিকে জন্মনিবন্ধন বা জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকায় এতোদিন নিবন্ধন করতে না পেরে যারা টিকা নিতে পারেনি তারা সহজে টিকা পেয়ে খুশি।
মুক্তমঞ্চ কেন্দ্রে টিকা নিতে আসা হোটেল শ্রমিক কামরুল হাসান বলেন, ‘এনআইডি কার্ড এখনও করিনি। জন্মনিবন্ধন ডিজিট্যালি করা নাই। তাই চেষ্টা করে টিকা নিতে পারিনি। এখন নিবন্ধন ছাড়া টিকা পেয়ে খুশি লাগছে।’
সবজি বিক্রেতা হেমা বালা ত্রিপুরা বলেন, ‘সারাদিন কৃষি কাজ করে টিকা নিতে যাওয়ার সময় হয় না। বাড়ি থেকে খাগড়াছড়ি হাসপাতালে এসে টিকা দিতে হলে দুই শ টাকা খরচ হবে। কিন্তু আজ লাইনে দাঁড়িয়ে পেয়ে গেছি টিকা। ভালো লাগছে।’
খাগড়াছড়ি পৌরসভার সচিব খন্দকার পারভীন আকতার জানান, গণটিকা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের নিবন্ধন ছাড়াই ফাইজার এবং ১৭ বছরের বেশি বয়সীদের সিনোভ্যাক্সের টিকা দেয়া হচ্ছে। প্রথম দিন ৬ শতাধিক মানুষকে টিকাদানের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।