বিয়েবহির্ভূত সম্পর্কের জেরে ৬ বছর আগে জয়পুরহাটে স্বামীকে হত্যা করার দায়ে স্ত্রীসহ তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।
জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক নূর ইসলাম বৃহস্পতিবার দুপুরে এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন দিনাজপুরের নিহত রহিম বাদশার স্ত্রী ২৭ বছরের আকলিমা খাতুন, শালগ্রামের ৩৪ বছরের সেলিম মিঞা ও গোপালপুর গ্রামের ৩৭ বছরের আইনুল।
হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী আকলিমাসহ তিন আসামির ফাঁসির রায়ের সময় শুধু সেলিম মিঞা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। ঘটনার পর আকলিমা গ্রেপ্তার হলেও পরে তিনি জামিন নিয়ে পলাতক রয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল এসব তথ্য নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেন।
পিপি জানান, নিহত রহিম বাদশা দিনাজপুরের দেওগ্রাম ডুগডুগি গ্রামের শাহাদত হোসেন ওরফে সাদার ছেলে। তিনি ভাড়ায় চালিত মাইক্রোবাসের চালক ছিলেন। তার সহকারী হিসেবে কাজ করতেন সেলিম মিঞা। সেই সুবাদে রহিমের বাড়িতে যাতায়াত ছিল তার।
পরে রহিমের স্ত্রী আকলিমার সঙ্গে তার বিয়েবহির্ভূত সম্পর্ক তৈরি হয়। দীর্ঘদিন ধরে চলা এ সম্পর্কে তারা রহিম তাদের পথের কাটা মনে করেন। তখন তারা রহিম বাদশাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।
২০১৬ সালের ১০ জুলাই রাতে সেলিম মিঞা বন্ধু আইনুলকে নিয়ে রহিম বাদশাকে মাইক্রোবাসের মধ্যে গলা কেটে হত্যা করে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার বারকান্দিতে রাস্তার ধারে চালকের আসনে বসা অবস্থায়ই ফেলে রেখে চলে যান। পরদিন ১১ জুলাই রহিমের বাবা শাহাদত হোসেন পাঁচবিবি থানায় হত্যা মামলা করেন।
এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালীন পাঁচবিবি থানার ওসি (তদন্ত) কিরণ কুমার ১৩ জুলাই সেলিম মিঞা, ১৪ জুলাই আকলিমা খাতুন ও ১৬ জুলাই আইনুলকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠান।
ওই সময় তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন। পরে একই বছর ২৭ ডিসেম্বর কিরণ কুমার তাদের নামে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
পিপি নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল বলেন, ‘রায় ঘোষণার পর সেলিম মিঞা ও আইনুলকে জয়পুরহাট কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আকলিমা পলাতক রয়েছেন। তবে আসামিরা এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করতে পারবেন।’