গোপালগঞ্জের বেদগ্রামের জাকিয়া বেগম হত্যা মামলায় স্বামীসহ চার আসামির মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।
ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক জাকির হোসেনের আদালত বৃহস্পতিবার দুপুরে এ রায় ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে নিহতের স্বামী মোর্শেদায়ান নিশানকে ৫ লাখ এবং অন্য আসামিদের ৩ লাখ টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দেন।
নিশানের পক্ষের আইনজীবী আব্দুর রহিম বিষষটি নিশ্চিত করেছেন।
মৃত্যদণ্ড প্রাপ্ত আসামিরা হলেন, নিহতের স্বামী মোর্শেদায়ান নিশান, এহসান সুজন, আনিচুর রহমান ও হাসান শেখ।
গত ১৩ জানুয়ারি রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক রায়ের জন্য এই তারিখ ধার্য করেন।
নিশান মাছরাঙ্গা টিভির গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি ও স্থানীয় ‘দৈনিক আমাদের গোপালগঞ্জ’ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। হত্যাকাণ্ডের পর তিনি গ্রেপ্তার হলেও জামিন নিয়ে ফের পলাতক হন। বাকি তিন আসামি কারাগারে ছিলেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০০৬ সালে নিশানের সঙ্গে জাকিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই নিশান ও তার পরিবারের সদস্যরা ১ কোটি টাকা যৌতুকের জন্য জাকিয়াকে বলেন। তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন তারা।
২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি রাতে আসামিরা জাকিয়ার কাছে নিশানের নামে ঢাকায় ফ্ল্যাট কিনে দেয়ার জন্য যৌতুক দাবি করেন। জাকিয়া যৌতুক দিতে রাজি না হলে তারা জাকিয়াকে জোর করে শোয়ার ঘর থেকে রান্নাঘরে নিয়ে যান। নিশান অন্য আসামিদের প্ররোচনায় কুপিয়ে হত্যা করেন জাকিয়াকে।
মামলা তদন্ত করে ওই বছরের ৯ জুন গোপালগঞ্জ জেলার ডিবি পুলিশের পরিদর্শক সওগতুল আলম চারজনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দেন। এরপর গোপালগঞ্জ জেলা জজ আদালতে চার আসামির বিচার শুরু হয়।
মামলায় সাতজনের সাক্ষ্য নেয়া হয়। মামলাটি ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়।
দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলাটি আসার পর আরও ১৩ জন সাক্ষ্য দেন। চার্জশিটভুক্ত ২০ সাক্ষীর মধ্যে ২০ জনেরই সাক্ষ্য নেয় আদালত।