বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

৫ বন্ধুর মরদেহ নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ২০

  •    
  • ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১০:০৯

মনোহরগঞ্জ উপজেলার হাসনাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. কামাল হোসেন বলেন, ‘মরদেহ হস্তান্তরে প্রশাসনের কোনো সহযোগিতা না পেয়ে উত্তেজিত হয়ে যায় নিহতের স্বজন ও সতীর্থরা। পরে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। পুলিশের অসহযোগিতার কারণেই এমন ঘটনার সৃষ্টি হয়েছে।’ 

চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে প্রাইভেট কার দুর্ঘটনায় নিহত পাঁচ যুবকের মরদেহ নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

নিহতের স্বজনরা ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ নিয়ে যেতে চাইলে বুধবার সন্ধ্যায় পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। এ সময় ২ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার মধ্যরাতে দুর্ঘটনায় নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, বুধবার দিনভর তদন্ত কেন্দ্রে বসিয়ে রেখেও মরদেহ হস্তান্তর করেনি পুলিশ। বিকেলে সেগুলো চাঁদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় ময়নাতদন্তের জন্য।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অনেকক্ষণ অপেক্ষার পরও নিহতদের মরদেহ হস্তান্তর না করায় ক্ষোভে ফেটে পড়ে স্বজনরা। এ সময় মরদেহ নিয়ে যেতে চাইলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়।

পরে চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায় ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

তিনি জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে ১৭টি ফাঁকা গুলি ছুঁড়তে হয়েছে। এ সময় তাদের দুই সদস্য আহত হয়েছে।

এ দিকে সংঘর্ষের ঘটনায় উত্তেজিত জনতা চিতশী শান্তিরবাজার সড়কের বেইলী ব্রীজের পাটাতন খুলে ফেলে। এতে এ সড়কসহ চিতোষী-হাসনাবাদ সড়কের যোগাযোগ সাময়িকভাবে বন্ধ ছিল।

সংঘর্ষের পর উত্তেজিত জনতা চিতশী শান্তিরবাজার সড়কের বেইলী সেতুর পাটাতন খুলে ফেলে। ছবি: নিউজবাংলা

মনোহরগঞ্জ উপজেলার হাসনাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. কামাল হোসেন বলেন, ‘মরদেহগুলো সারাদিন উঘারিয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে রেখে স্বজনদের হস্তান্তর করা হবে বলে দিনপার করে৷ সন্ধ্যার আগে পুলিশ জানায়, মরদেহ নিতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি লাগবে।

‘এ সময় প্রশাসন থেকেও কোনো সহযোগিতা না পেয়ে উত্তেজিত হয়ে যায় স্বজন ও সতীর্থরা। পরে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। পুলিশের অসহযোগিতার কারণেই এমন ঘটনার সৃষ্টি হয়েছে।’

এ ঘটনায় শাহরাস্তি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবদুল মান্নান বলেন, ‘দুর্ঘটনাকবলিত প্রাইভেট কারে একটি মদের বোতল পাওয়া গেছে। পুলিশের ধারণা, ওই পাঁচ যুবক মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। যে কারণে বেপরোয়া গতিতে তারা প্রাইভেট কার চালালে দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়।

‘আমরা নিহতদের স্বজনদের আইনগত পদ্ধতি অবলম্বনের আহ্বান জানালে তারা উত্তেজিত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে আমাদের দুই সদস্য আহত হয়। মরদেহগুলো এখনও চাঁদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেই আছে। বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকতা শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’

এর আগে মঙ্গলবার মধ্যরাতে চিতোষী-চাটখিল সড়কে প্রাইভেট কার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে পুকুরে পড়ে গেলে কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার শাহপরান তুষার, শাকিল হোসেন ও রেজাউল এবং যশোর জেলার শার্শা থানার নয়ন ও গাজীপুর সদরের উত্তর খাইলপুর গ্রামের সাগর হোসেন নিহত হন।

এ বিভাগের আরো খবর