প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও অন্য কমিশনার পদে নিয়োগের জন্য ১০ নাম চূড়ান্ত করার পর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাচ্ছেন সার্চ কমিটির সদস্যরা।
বঙ্গভবনে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে তাদের।
সার্চ কমিটি যে ১০ জনের তালিকা করেছে, তা প্রকাশ করা হয়নি। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে কমিটির সদস্যদের সাক্ষাতের আগেই তালিকা সিলগালা করে বঙ্গভবনে পাঠানো হবে।
সার্চ কমিটি গঠনের ১৭ দিনের মাথায় মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে কমিটির বৈঠকে নামগুলো চূড়ান্ত হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব খোন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেছেন, ‘১০ জনের নাম তারা (সার্চ কমিটি) ফাইনাল করেছে। আগামী বৃহস্পতিবার মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে তারা জমা দেবেন।
‘উনাদের মিটিং শেষ, উনাদের সিলেকশন শেষ। সবকিছু তারা ফাইনাল করেছেন। তারা মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে দিলে মহামান্য রাষ্ট্রপতি তারপর সিদ্ধান্ত নেবেন।’
এই ১০ জনের নাম প্রকাশ করা হবে না, সেটি আগেই জানিয়েছিলেন সার্চ কমিটির প্রধান আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি সার্চ কমিটিতে জমা পড়া যে ৩২২ জনের নাম প্রকাশ করা হয়েছিল, তার বাইরেও কিছু নাম থাকতে পারে। এর কারণ সেদিন নাম প্রকাশের পরও বিশিষ্ট সাংবাদিকদের সঙ্গে সার্চ কমিটির বৈঠকে কিছু নাম জমা পড়েছে। সেগুলো আর প্রকাশ করা হয়নি।
গত শনিবার এসব নাম থেকে ২০ জনের সংক্ষিপ্ত তালিকা করে সার্চ কমিটি। দুই দিন পরের বৈঠকে তালিকা ১০ জনে নামিয়ে আনার চেষ্টা করা হলেও তা হয়নি, সেদিন হয় ১৩ জনের তালিকা।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হয়। তারপর থেকে কমিশন এখন পর্যন্ত শূন্য রয়েছে।
নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে এবার আইন করেছে সরকার। এর আলোকে গঠন করা হয়েছে সার্চ কমিটি। এর আগের দুটি কমিশনও সার্চ কমিটি গঠন করেই করা হয়েছিল, যদিও তখন সুনির্দিষ্ট কোনো আইন ছিল না।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করে দেন রাষ্ট্রপতি। এই কমিটি নিজেদের মধ্যে বৈঠক ছাড়াও বিশিষ্টজন ও গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে পরামর্শ করে।
কমিটি নির্বাচন কমিশনে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের কাছ থেকে নাম চায়। এমনকি ব্যক্তিগত পর্যায়ে কেউ আগ্রহী হলে তারও নাম জমা দেয়ার সুযোগ ছিল।
গত ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নাম পাঠানোর সুযোগ ছিল। পরে দুই দিন বিশিষ্টজনদের সঙ্গে আলোচনায় উঠে আসা পরামর্শের ভিত্তিতে ১৪ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৫টা পর্যন্ত আবার নাম পাঠানোর সুযোগ দেয়া হয়।
যে কারণে এই বাড়তি সময় দেয়া হয়, সেটি সফল হয়নি। বিএনপি বর্ধিত সময়েও কোনো নাম প্রস্তাব করেনি।