বাড়ির পাশের চায়ের দোকানে টিভি দেখতে যাওয়া কাল হলো শিশু ফাহিমের। দোকানের টিভির রিমোট ভেঙে ফেলায় দোকানি রেগে গিয়ে তার দুই হাতে গলা ধরে উঁচু করে ধরেন। এতে দমবন্ধ হয়ে মারা যায় শিশুটি।
পরে দোকানি মরদেহ নিজ বাড়ির একটি ঘরে রেখে রাতে বাড়ির পাশের খেসারি ক্ষেতে ফেলে আসেন।
পুলিশ অভিযুক্ত দোকানি মোকলেস মিয়াকে গ্রেপ্তার করে আদালতে তোলার পর তিনি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিও দিয়েছেন।
নিহত শিশু সাত বছরের ফাহিম গোমস্তাপুর উপজেলার বাঙ্গাবাড়ি ইউনিয়নের কামালপুর এলাকার রেজাউল করিমের ছেলে।
সোমবার সকালের নাশতা খাওয়ার পর বন্ধুদের সঙ্গে খেলার জন্য বের হয়েছিল ফাহিম। দুপুরে না ফিরলে তার মা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। রাতেও তার সন্ধান পায়নি পরিবার।
পরে মঙ্গলবার সকালে বাড়ির পাশের খেসারি ক্ষেতে মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে জানান স্থানীয়রা।
গোমস্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলীপ কুমার দাস জানান, শিশুটি বাড়ির পাশেই একটি চায়ের দোকানে সোমবার সকালে গিয়ে টিভি দেখছিল। টিভির রিমোট নিয়ে সে চ্যানেল পাল্টাতে থাকে।
দোকানি মোকলেস তাকে ধমক দেয়। এ সময় শিশুটি রিমোট ছুড়ে ফেলে দিলে সেটি ভেঙে যায়। এরপর দোকানি রেগে গিয়ে শিশুটির গলা ধরে উঁচু করে ধরে। দ্রুতই দম বন্ধ হয়ে মারা যায় সে।
পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘এরপর বিষয়টি ধামাচাপা দিতে সে দোকানের লাগানো বাড়ির একটি ঘরে শিশু ফাহিমের মরদেহ রেখে দেয়। পরে গভীর রাতে খেসারি ক্ষেতে ফেলে আসে।’
তিনি জানান, শিশুটির চোখে যে জখমের চিহ্ন দেখা গিয়েছিল, তা ক্ষেতে পড়ে থাকার কারণে কোনো পশুর আক্রমণে হতে পারে।
ওসি জানান, শিশু ফাহিমের বাবা রেজাউল করিমের মামলা করার পর মোকলেসকে বুধবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হলে তিনি জবানবন্দি দেন।
রেজাউল করিম এর আগে তার ভাইদের বিরুদ্ধে সন্তান হত্যার অভিযোগ করেছিলেন। ঘটনার পর তাদের থানায় আনা হয়েছিল। পরে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে।