সব ধরনের খুচরা তামাকজাত দ্রব্য বিক্রেতাদের লাইসেন্সের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছে এইড ফাউন্ডেশন।
বুধবার বেলা ১১টায় এইড ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে এক কর্মশালায় এ আহ্বান জানানো হয়।
কর্মশালায় জানানো হয়, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের কার্যক্রম ‘তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন নির্দেশিকা’। এরই একটি অংশ সব ধরনের খুচরা তামাকজাত দ্রব্যের বিক্রেতাদের লাইসেন্সের আওতায় এনে বিক্রিকে সীমিত করা।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও চিকিৎসাসেবা কেন্দ্রের ১০০ মিটারের মধ্যে তামাকজাত দ্রব্যের দোকান নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এটি না মানলে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
বক্তারা বলেন, একটি এলাকায় যেখানে-সেখানে তামাকজাত দ্রব্যের দোকান থাকতে পারবে না বলে নির্দেশনা রয়েছে। নির্দেশনাটি স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো মনিটরিংয়ের মাধ্যমে জেলা টাস্কফোর্স কমিটির সহায়তায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনার করে আইন লঙ্ঘনকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
গাইডলাইনটির বিভিন্ন ধারা বিস্তারিত আলোচনা করে বলা হয়, এটির যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত হলে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে যুগান্তকারী ভূমিকা হবে। ইতোমধ্যে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, নেপাল, পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশে এই লাইসেন্স ব্যবস্থা কার্যকরের মাধ্যমে ব্যাপক সাফল্য পাওয়া গেছে।
কর্মশালায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন ভঙ্গ করে কোম্পানির প্রচারণায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন এইডের তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের প্রকল্প কর্মকর্তা শাগুফতা সুলতানা। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী ও খুলনা সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা যুগ্ম সচিব ড. এ বি এম শরীফ উদ্দিন ও যুগ্ম সচিব লস্কার তাজুল ইসলাম, খুলনা সিটি করপোরেশনের সচিব আজমুল হক, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আবু সালেহ মোহাম্মদ নুর-ই সাইদ, বাংলাদেশ তামাকবিরোধী জোটের সচিবালয়ের মুখপাত্র সৈয়দা অনন্যা রহমান।
কর্মশালায় রাজশাহী ও খুলনা সিটি করপোরেশন এবং খুলনা বিভাগের নয়টি সদর পৌরসভার সচিব, লাইসেন্স পরিদর্শক এবং তামাকবিরোধী জোটের অন্তর্ভুক্ত সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।