বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নিষেধাজ্ঞাতেও থামছে না অবৈধ যান

  •    
  • ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ২০:৫৮

রাজবাড়ী এলাকার ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ইমরান বলেন, ‘শহরের শিববাড়ী-জোড়পুকুর এলাকার যানজট নিরসনে অবৈধ যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে জেলা প্রশাসন। তবে মাঠ পর্যায়ে নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নের কোনো ব্যবস্থাই চোখে পড়ছে না৷ প্রতিদিনই দীর্ঘ যানজটে পড়ে নাকাল হচ্ছে নগরবাসী।’

গাজীপুরে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারির পরও থামানো যাচ্ছে না অবৈধ যান চলাচল।

জেলা প্রশাসনের নাকের ডগায় প্রতিনিয়ত এসব যানবাহন চলাচল করছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জোরালো পদক্ষেপ না নেয়ায় এমন অবস্থা চলছে বলে অভিযোগ।

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি জেলা আইনশৃঙ্খলার সভায় শিববাড়ী-জোড়পুকুর সড়কে অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধের বিষয়ে আলোচনা হয়। পরদিন যানবাহনের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে এবং দুর্ঘটনারোধে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে জেলা প্রশাসন।

এ আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে যৌথ অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেয়া হয়। এরপর একটানা চারদিন মাইকিং করে অবৈধ যান চালকদের সতর্ক করা হয়।

আগের ঘোষণা অনুযায়ী ২০ ফেব্রুয়ারি যৌথ অভিযান পরিচালনার কথা থাকলেও বাস্তবে অভিযান দেখা যায়নি। উল্টো গত কয়েকদিন ধরে জয়দেবপুর শহরে সকাল-সন্ধ্যা যানজটের মুখে পড়তে হয় নগরবাসীকে।

সরেজমিনে বুধবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত দেখা যায়, জয়দেবপুর শহরের বিভিন্ন সড়কে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অবৈধ যানবাহন চলাচল করছে। যানজট ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।

শহরের জয়দেবপুর রেলগেইট, জোড়পুকুর, রথখোলা ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে গাড়ির চাপ বেশি থাকায় দীর্ঘক্ষণ যানজটে পড়ে নাকাল হয় অফিসগামী মানুষ। সকালে যানজট এতটাই বেশি ছিল যে শহরের সবগুলো সড়ক প্রায় অচল হয়ে পড়ে।

একই অবস্থা দেখা যায় বিকেলের পর থেকে। অফিস-আদালত ছুটির পর জোড়পুকুর থেকে শিববাড়ী পর্যন্ত যানজট পোহাতে হয় এ পথের যাত্রীদের। নগরীর এই অসহনীয় যানজটের জন্য ব্যাটারিচালিত অবৈধ ইজিবাইক ও অটোরিকশার পাশাপাশি তাকওয়া পরিবহনকে দায়ী করছে নগরবাসী।

গাজীপুর মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী মেহবুবে মৌলি সূচনা বলেন, ‘শহরের বাসিন্দাদের নিত্যদিনের সঙ্গী জয়দেবপুর রেলগেইটের যানজট। তার মধ্যে দুর্ভোগ বাড়িয়েছে শহরের ভেতর দিয়ে চলাচল করা অসংখ্য পণ্যবাহী গাড়ি, অটোরিকশা ও ইজিবাইক। জরুরি কাজে হাসপাতাল, ব্যাংক কিংবা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে অসহনীয় যানজট পোহাতে হয়।’

রাজবাড়ী এলাকার ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ইমরান বলেন, ‘শহরের শিববাড়ী-জোড়পুকুর এলাকার যানজট নিরসনে অবৈধ যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে জেলা প্রশাসন। তবে মাঠ পর্যায়ে নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নের কোনো ব্যবস্থাই চোখে পড়ছে না৷ প্রতিদিনই দীর্ঘ যানজটে পড়ে নাকাল হচ্ছে নগরবাসী।’

গাজীপুর বিআরটিএর তথ্যমতে, তাকওয়া পরিবহনের ২৫০টি বাসের রুট পারমিট আছে। অতিরিক্ত বাস চলাচলের কোনো তথ্য তাদের কাছে নেই।

দুই বছর আগে গাজীপুর মহানগরীতে মহাসড়ক ও আঞ্চলিক মহাসড়কে অবৈধ অটোরিকশা, ইজিবাইক চলাচল বন্ধ করে দেয় প্রশাসন। তবে করোনা মহামারির শুরুতে আবার ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়ে এসব অবৈধ যানবাহন।

বর্তমানে গাজীপুর জেলা ও মহানগরের প্রায় প্রত্যেকটি অলিগলিতে অটোরিকশা ও ইজিবাইক চলাচল করছে। পুরো জেলায় কতগুলো অটোরিকশা ও ইজিবাইক চলাচল করে তার সঠিক তালিকাও নেই জেলা প্রশাসনের কাছে।

গাজীপুর বিআরটিএর সহকারী পরিচালক মো. আবু নাঈম বলেন, ‘অবৈধ যানবাহন ও যেসব পরিবহনের কারণে শহরে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে সেসবের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

গাজীপুর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাফিস এলাহী বলেন, ‘মঙ্গলবার সকাল থেকে হাড়িনাল, জোড়পুকুর ও মহিলা কলেজের সামনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। এদিন মোটরযান ও সড়ক পরিবহন আইনে ১১টি মামলা করা হয়েছে। এসময় রুট পারমিট বিহীন তাকওয়া পরিবহনের তিনটি বাসকে জরিমানা করা হয়। এদিন আরও দুটি পৃথক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা হয়েছে।’

এ ব্যাপারে জানতে গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। এসএমএস পাঠিয়েও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ বিভাগের আরো খবর