বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) করে নির্বাচন কমিশন গঠন হলেও বিএনপির অন্য নেতাদের পছন্দ হবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং ১৪ দলের আহ্বায়ক আমির হোসেন আমু।
একুশে ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বুধবার ১৪ দলের উদ্যোগে আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় আমু এ মন্তব্য করেন।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের লক্ষ্যে হওয়া সার্চ কমিটি এবং তাদের প্রস্তাবিত নাম নিয়ে বিএনপির বিভিন্ন সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন আমু। বলেন, ‘যারা স্বচ্ছ নির্বাচনের কথা বলছেন, তারাই দেশে অস্বচ্ছ নির্বাচনের প্রবর্তন করেছেন।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও আরও চার নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য রাষ্ট্রপতিকে সুপারিশ করতে মঙ্গলবার ১০ নাম চূড়ান্ত করেছে সার্চ কমিটি। তবে তারা কারা, তা জানানো হয়নি।
সার্চ কমিটি গঠনের ১৭ দিনের মাথায় সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে কমিটির বৈঠকে এই নামগুলো চূড়ান্ত হয়।
১৪ দলের আহ্বায়ক বলেন, ‘সংবিধানে সামরিক শাসনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের সুযোগ না থাকলেও তারা সেটা করেছে। আর তাই অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকে বৈধতা দিতে দল গঠনের মাধ্যমে দুই-তৃতীয়াংশ মেজরটি নিতে নির্বাচনের নামে ব্যালট বাক্স ছিনতাই, কেন্দ্র দখলসহ নির্বাচন পদ্ধতিকে বিধ্বস্ত করেছিল তারাই।
‘২০০৬ সালে ১ কোটি ২০ লাখ ভুয়া ভোটার, ইয়াজ উদ্দিন আহমেদকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান ও নিজেদের পছন্দের লোককে নির্বাচন কমিশনের প্রধান করতে গিয়ে জনবিস্ফোরণে বিএনপির পতন হয়েছিল।’
১৪ দলের ভার্চুয়াল এ আলোচনা সভায় ভাষা আন্দোলনের পটভূমি তুলে ধরে এতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিভিন্ন অবদানের কথা স্মরণ করেন আমির হোসেন আমু।
তিনি বলেন, ‘আমাদের এই ভাষা আন্দোলন ছিল জাতিসত্তার আন্দোলন। এটি বঙ্গবন্ধু ধারণ করেছিলেন। আর তা ধারণ করে ধাপে ধাপে জাতীয়তাবাদকে শানিত করে পরবর্তী সময়ে ছয় দফা দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে এ দেশ স্বাধীন করেছিলেন।’
আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়ার সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, জাতীয় পার্টির (জেপি) সাধারণ সম্পাদক শেখ শহীদুল ইসলাম, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিট ব্যুরোর সদস্য অধ্যাপক সুশান্ত কুমার দাসসহ ১৪ দলের প্রথম সারির নেতারা।