২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষার বিপরীতে করোনা রোগী শনাক্তের হার ৫ শতাংশের কাছাকাছি নেমে আসার মধ্য দিয়ে ভাইরাসটির তৃতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণের ইঙ্গিত আরও স্পষ্ট হলো।
পরিস্থিতির উন্নতিতে মাস্ক পরা ছাড়া বাকি বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার পর দিন বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১ হাজার ২৯৮ জনের শরীরে নতুন করে করোনাভাইরাসের উপস্থিতির প্রমাণ মিলেছে।
রোগীর এই সংখ্যা গত ৮ জানুয়ারির পর সবচেয়ে কম। সেদিন ২৪ ঘণ্টায় রোগী পাওয়া যায় ১ হাজার ১১৬ জন।
এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ভাইরাসটিতে সংক্রমিত হয়েছে ১৯ লাখ ৩৮ হাজার ১৩৫ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়েছে ১৭ রাখ ৭৯ হাজার ৬৮৭ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় যত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৩ হাজার ২৭৪টি। এর মধ্যে ৫ দশমিক ৫৮ শতাংশের মধে ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে, যা গত ৭ জানুয়ারির পর সর্বোচ্চ।
করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসার কয়েক মাস পর সেদিন প্রথমবারের মতো শনাক্তের হার ৫ শতাংশ ছাড়িয়ে হয় ৫ দশমিক ৬৮ শতাংশ। এরপর টানা বাড়তে বাড়তে ২০ জানুয়ারি করোনার তৃতীয় ঢেউ নিশ্চিত হয়ে যায়।
করোনা নিয়ন্ত্রণে থাকা অবস্থায় শনাক্তের হার ৫ শতাংশ ছাড়িয়ে পর পর ১৪ দিন এই পরিস্থিতিতে থাকলে পরবর্তী ঢেউ ছড়িয়ে পড়ে বলে ধরে নেয়া হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই নীতিমালা নির্ধারণ করেছে। এরইভাবে কোনো ঢেউয়ে শনাক্তের হার নামতে নামতে ৫ এর নিচে আসলে আর পর পর ১৪ দিন এই পরিস্থিতি থাকলে সেই ঢেউ নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে ধরা হয়।
গত ২৮ জানুয়ারি শনাক্তের হার রেকর্ড ছুয়ে হয় ৩৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ। সে সময় পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হলেও পর দিন থেকেই তা কমতে থাকে।
আগের ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ছিল ৬ দশমিক ৭৭। সেদিন ২৪ ঘণ্টায় রোগী পাওয়া যায় এক হাজার ৫৯৫ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় রোগী ও শনাক্তের হারের পাশাপাশি কমেছে মৃত্যুর সংখ্যাও। এই সময়ে ৫ জনের মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, আগের দিন যা ছিল ১৬ জন।
এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ভাইরাসটিতে ২৮ হাজার ৯৯৫ জনের মৃত্যু হলো।
গত ২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে পুরুষ চার জন, নারী একজন। যারা মারা গেছেন, সবাই ঢাকা বিভাগের।
করোনা পরিস্থিতির উন্নতির কারণে মঙ্গলবার থেকে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে সব বিধিনিষেধ, তবে মাস্ক পরা এখনও বাধ্যতামূলক।
খুলে দেয়া হয়েছে মাধ্যমিক স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়। তবে প্রাথমিকে সশরীরে ক্লাস চালু হবে ২ মার্চ। শিশু শ্রেণিতে অবশ্য এখনও অনলাইনে ক্লাস চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।