জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র ব্লগার নাজিমুদ্দিন সামাদ হত্যা মামলায় আনসার আল ইসলামের সামরিক শাখার প্রধান চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়াসহ পাঁচজনের সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।
ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমানের আদালত বুধবার এ আদেশ দেয়।
মামলার পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তারসংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন আদালতে জমার নির্ধারিত দিন ছিল বুধবার। আসামিদের গ্রেপ্তার করা যায়নি জানিয়ে পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল করার পর আদালত তাদের সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দেয়। ৩০ মার্চ এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ঠিক করেছে আদালত।
সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ হওয়া অন্য চার আসামি হলেন আকরাম হোসেন, মো. ওয়ালিউল্লাহ ওরফে ওলি ওরফে তাহেব ওরফে তাহসিন, সাব্বিরুল হক চৌধুরী ওরফে আকাশ ওরফে কনিক ও মাওলানা জুনেদ আহাম্মেদ ওরফে সাব্বির ওরফে জুনায়েদ ওরফে তাহের।
সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী পারভেজ ভূঁইয়া বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ১৭ জানুয়ারি চাকরিচ্যুত মেজর জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের দেয়া অভিযোগপত্র আমলে নেয় আদালত। পাঁচ আসামি পলাতক থাকায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
মামলার অন্য চার আসামি রশিদুন নবী ভূইয়া, মোজাম্মেল হুসাইন, আরাফাত রহমান ও শেখ আব্দুল্লাহ কারাগারে রয়েছেন বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৬ এপ্রিল রাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস শেষে পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়ায় মেসে ফেরার পথে লক্ষ্মীবাজারের একরামপুর মোড়ে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয় ব্লগার নাজিমুদ্দিনকে। পরদিন সূত্রাপুর থানার এসআই নুরুল ইসলাম মামলা করেন। ২০২০ সালের ২০ আগস্ট জিয়াসহ নয়জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেয় কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট।