বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিচারবহির্ভূত হত্যা নিন্দনীয়, কিন্তু ঘটে যায়: শাজাহান খান

  •    
  • ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৬:১৩

‘বিচারবহির্ভূত হত্যা কখনও কাম্য নয়। এগুলো নিন্দনীয়, গ্রহণযোগ্য নয়। কিন্তু ঘটনাগুলো ঘটে যায়। তবে আমেরিকার মতন জায়গায় বিচারবহির্ভূত হত্যা হয়।’

বিচারবহির্ভূত হত্যা কখনও কাম্য না হলেও সেগুলো ঘটে যায় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান। তবে এটি কেবল বাংলাদেশের সমস্যা নয় বলে মনে করেন তিনি। বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রেও এই হত্যাগুলো হয়।

বুধবার সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত ‘বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে তিনি এ কথা বলেন।

এতে জানানো হয়, গত তিন বছরে সারা দেশে ৫৯২ জন বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার। তবে র‌্যাবের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পর আর ঘটেনি।

তবে এই সমস্যা কেবল বর্তমান সরকারের আমলের নয় বলেও জানানো হয়েছে। বিএনপি শাসনামলেও বিপুলসংখ্যক মানুষকে এভাবে হত্যা করা হয়েছিল। আবার বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করা যাবে না, এমন আইনও করা হয়েছিল।

আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য শাজাহান খান বলেন, ‘বিচারবহির্ভূত হত্যা কখনও কাম্য নয়। এগুলো নিন্দনীয়, গ্রহণযোগ্য নয়। কিন্তু ঘটনাগুলো ঘটে যায়। তবে আমেরিকার মতন জায়গায় বিচারবহির্ভূত হত্যা হয়।’

‘বিচারবহির্ভূত হত্যার দায় দুই দলেরই’আয়োজক সংগঠন সিজিএসের চেয়ারম্যান মনজুর আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘বিচারবহির্ভূত হত্যা কোনো নতুন বিষয় নয়। স্বাধীনতার পরও এটি হয়েছে। ২০০৪ সালে যখন বিএনপি সরকার ক্ষমতায় তখন অপারেশন ক্লিনহার্টের নামে ৭০০ লোক হত্যা করা হয়েছে৷ পরে বলা হতো হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন।

‘তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনা এটা নিয়ে সোচ্চার ছিলেন। তবে ২০০৯ সালে তিনি যখন ক্ষমতায় এসেছেন তিনি বিচার করেন নাই। যার ফলে বিচারহীনতার সংস্কৃতির ভাগিদার দুই দলই।’

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে যারা হত্যা করেছে, তাদের বিচার যাতে না হয় সে জন্য ইনডেমনিটি অ্যাক্ট পাস হয়েছে। সে সময় সংসদে ২৪১ জন যারা বলেছে যে বিচার করা যাবে না, তাদের মধ্যে কয়েকজন আওয়ামী লীগের আমলে মন্ত্রী হয়েছে।’

র‍্যাবের ৭ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা জাতির জন্য রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এখন বেলারুশ, কম্বোডিয়ার সাথে তুলনা করা হয় বাংলাদেশের।’

দেশের মানবাধিকার কমিশন অত্যন্ত দুর্বল উল্লেখ করে মনজুর বলেন, ‘টাকার বিনিময়ে খুন করে ফেলা হচ্ছে। ক্যাপিটাল পানিশমেন্টের বিষয়টা নিয়ে যাওয়া হয়েছে জেলা পর্যায়ের ওসি লেভেলে।... একজন ওসি মৃত্যুদণ্ড দিতে পারে না।’

প্রতিহিংসা থেকে প্রতিহিংসার জন্ম হয় জানিয়ে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য জহির উদ্দিন স্বপন বলেন, ‘কর্তৃত্ববাদী মনোজগৎ থেকে বেরিয়ে আসা না যায় তাহলে বিচারবহির্ভূত হত্যা বন্ধ হবে না। ১৮ কোটি মানুষের আক্রোশে পড়ার ভয় যখন সৃষ্টি হবে তখনই এগুলো দূর হয়ে যাবে।’

র‌্যাবের নিষেধাজ্ঞার পর বন্দুকযুদ্ধ নেই কেনএই প্রসঙ্গটি তুলেছেন মানবাধিকারকর্মী নূর খান। তিনি বলেন, ‘গত ১০ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আসার পর থেকে বিচারবহির্ভূত হত্যা নেই। এখন কি সন্ত্রাসী আইনশৃঙ্খলা বাহিনী- বন্ধুকযুদ্ধ করে না?’

তিনি বলেন, ‘বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে নাটক সাজিয়ে হত্যা করা হয়েছে এগুলো জনগণ বিশ্বাস করে না।’

আইন ও সালিশ কেন্দ্রের সাবেক পরিচালক বলেন, ‘গত ১০ বছরে যারা হেফাজতে মৃত্যু, ক্রসফায়ারের ঘটনা ঘটিয়েছে, তারাই বিভিন্ন পদক পেয়েছে। অথচ ৪০ বছর আগে পুলিশ হেফাজতে কারও মৃত্যু হলে তাদের পদোন্নতি হতো না।’

টেকনাফে যুবলীগ নেতা একরাম চৌধুরী হত্যার ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘পরিবারের পক্ষ থেকে যে মামলা করবে এমন পরিবেশ সৃষ্টির বিষয়টি আমরা দেখলাম না। অপারেশন ক্লিন হার্ট নিয়ে কোনো মামলা হচ্ছে না। এ জন্য নিরপেক্ষ তদন্ত কমিশন করতে হবে। আইনের মাধ্যমে বিচার করতে হবে।’

ক্ষমতায় থাকার জন্য সরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করছে অভিযোগ করে গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়া বলেন, ‘যারা অন্যায় করে তাদেরকে পুরস্কৃত করা হয়। ...সরকারের বিশেষ অনুরোধে তারা অবৈধ কাজ করে বলেই তাদের পদক দেয়া হয়।’

মৃত্যুদণ্ড বাতিলের দাবিজাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহ ১৯৯৬ সালে গুম হওয়া কল্পনা চাকমার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘ইস্যুটা ধামাচাপা পড়ে গেছে।’

সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড বাতিল করার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে বহু দেশ প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।’

এ বিভাগের আরো খবর