বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সাফায়েতও ফিরেছেন কফিনবন্দি হয়ে

  •    
  • ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৪:৪৮

মাদারীপুরের পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল বলেন, ‘এ বিষয়ে ভুক্তভোগী পরিবার অভিযোগ করলে আমরা আইনি ব্যবস্থা নেব। আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের সব ধরনের আইনি সহায়তা দিতে চাই।’

ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি যাওয়ার পথে মাঝসমুদ্রে ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টির কবলে পড়ে তীব্র ঠান্ডায় মারা যাওয়া সাফায়েত মোল্লার মরদেহ দাফন করা হয়েছে।

এর আগে মঙ্গলবার সকালে মরদেহ তার বাড়ি মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার ইশিবপুর ইউনিয়নের উম্মারখালী গ্রামে এসে পৌঁছায়। দুপুরে দাফন সম্পন্ন হয়।

নিউজবাংলাকে এসব তথ্য জানান নিহত সাফায়েতের বাবা কাশেম মোল্লা।

এর আগে একই ঘটনায় মারা যাওয়া ইমরান হাওলাদার প্রথম দফায়, দ্বিতীয় দফায় জয় তালুকদার এবং তৃতীয় জহিরুল ইসলামের মরদেহ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

কাশেম মোল্লা জানান, গত সোমবার সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মরদেহ এসে পৌঁছায়। সাফায়েত লিবিয়া থেকে ২৪ জানুয়ারি ইতালির উদ্দেশে যাত্রা করেছিল। কিন্তু ২৫ জানুয়ারি ভূমধ্যসাগরে ঝড়-বৃষ্টির কবলে পড়ে অতিরিক্ত ঠান্ডায় মারা যায় সাফায়েতসহ ৭ বাংলাদেশি। ২৭ জানুয়ারি তারা সাফায়েতের মৃত্যুর খবর জানতে পান।

এরপর গত ২৯ জানুয়ারি ইতালির বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে জরুরি নোটিশের মাধ্যমে জানানো হয় তিউনিসিয়ার ভূমধ্যসাগরে ৭ বাংলাদেশির প্রাণ হারানোর খবর।

সাফায়েত মোল্লার দুলাভাই রাসেল মিঞা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সাফায়াতের মৃত্যুর খবর অনেক দিন দালালেরা গোপন রেখেছিল। তারা আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছিল, সাফায়েত অসুস্থ, তাই হাসপাতালে আছে। এর কয়েক দিন পর সাফায়াতের সঙ্গে বেঁচে যাওয়া একজনের কাছ থেকে মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হতে পারি।’

সাফায়েতের বড় ভাই সুফিয়া মোল্লা বলেন, ‘সাফায়েত অকালে প্রাণ হারাবে তা ভাবতেও পারিনি। উন্নত জীবনযাপন করার জন্য সে অবৈধভাবে দালাল চক্রের মাধ্যমে ইতালি যায়। অবৈধভাবে আর কেউ বিদেশে না যাক, আর কোনো মায়ের বুক যেন খালি না হয়।

‘এসব দালালের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।’

তবে কোন দালালের মাধ্যমে সাফায়েত বিদেশ গিয়েছেন তা বলতে রাজি হয়নি তার পরিবার।

এ ঘটনায় মাদারীপুরের পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এ বিষয়ে ভুক্তভোগী পরিবার অভিযোগ করলে আমরা আইনি ব্যবস্থা নেব। তবে অধিকাংশ সময় নিহতের পরিবার কোনো অভিযোগ করে না। আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের সব ধরনের আইনি সহায়তা দিতে চাই।’

এ ব্যাপারে রাজৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনিসুজ্জামান জানান, যারা মারা গেছেন, তাদের সাহায্য-সহযোগিতার ব্যাপারে এই মুহূর্তে কোনো নির্দেশনা নেই। তবে দালালদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

গত ২৪ জানুয়ারি ২৮৭ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী ইঞ্জিনচালিত নৌকায় করে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালির উদ্দেশে রওনা হন। তাদের মধ্যে ২৭৩ জনই বাংলাদেশি।

তিউনিসিয়ার ভূমধ্যসাগরের মাঝখানে যাওয়ার পর প্রবল ঝড় ও টানা ছয় ঘণ্টা বৃষ্টির কবলে পড়েন তারা। এতে প্রচণ্ড ঠান্ডায় মারা যান সাত বাংলাদেশি।

গত ২৫ জানুয়ারি বিষয়টি জানতে পারে ইতালির বাংলাদেশ দূতাবাস। জরুরি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তারা নিশ্চিত করেন, মারা যাওয়া সাত বাংলাদেশি পাঁচজনই মাদারীপুর জেলার বাসিন্দা।

এ বিভাগের আরো খবর