ঘুষ গ্রহণের মামলায় পুলিশের বরখাস্ত হওয়া উপমহাপপুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমান ও দুদক থেকে বরখাস্ত পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে রায় পড়া শুরু করেছেন বিচারক।
বুধবার বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম আলোচিত মামলাটির রায় পড়ে শোনানো শুরু করেন।
দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল জানান, রায় ঘোষণার আগে সাড়ে ১০টার দিকে মিজানকে আদালতে নেয়া হয়েছে।
গত ১০ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার আদালতে দুদক ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের এই তারিখ করেন বিচারক।
অভিযোগ প্রমাণে সক্ষম হয়েছে মর্মে রায়ে আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা প্রত্যাশা করছে দুদক। আর আসামিপক্ষ বলছে, দুদক অভিযোগ প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছে। কাজেই তারা খালাস পাবেন।
গত ৩ জানুয়ারী আত্মপক্ষ শুনানিতে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন মিজানুর রহমান এবং এনামুল বাছির। পরে ১২ জানুয়ারি আসামিরা তাদের লিখিত বক্তব্য জমা দেন।
গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর মামলাটিতে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়।
মামলার অভিযোগভুক্ত ১৭ সাক্ষীর মধ্যে ১২ জনের সাক্ষ্য নেয় আদালত।
৪০ লাখ টাকার ঘুষ কেলেঙ্কারির অভিযোগে ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্লাহ বাদী হয়ে মামলা করেছিলেন। ২০২০ সালের ১৯ জানুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন শেখ মো. ফানাফিল্লাহ।
ওই বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র নেন ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ। এরপর আদালত চার্জ গঠনের তারিখ দিয়ে মামলা ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বদলির আদেশ দেন।
২০২০ সালের ১৮ মার্চ আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয় আদালত।