বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) দ্বাদশ কংগ্রেস শুরু হচ্ছে ২৫ ফেব্রুয়ারি। গুলিস্তানের কাজী বশির মিলনায়তনে (মহানগর নাট্যমঞ্চ) এই সম্মেলন চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
রাজধানীর পল্টনে মুক্তি ভবনে মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘সিপিবির কংগ্রেসে কেবল নেতৃত্ব নির্বাচন হয় না, পার্টির নীতি এবং রাজনৈতিক কৌশলও নির্ধারণ করা হয়। আসন্ন কংগ্রেস ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার, দুঃশাসনের অবসান এবং জনজীবনের সংকট নিরসনে গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে লুটেরা পুঁজিবাদী ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তনে দিশা দেখাবে।
আসন্ন দ্বাদশ কংগ্রেসে গভীর সংকটে নিমজ্জিত দেশ রক্ষায় উপযুক্ত ও আদর্শনিষ্ঠ নীতি এবং রাজনৈতিক কৌশল নির্ধারণ করা হবে।’
সেলিম বলেন, ‘লুটেরা ধনবাদী ধারায় বাজার অর্থনীতিতে দেশ চলছে। শাসক শ্রেণি একচেটিয়া লুটপাট অব্যাহত রাখতে জোর করে ক্ষমতায় থাকার পথ অবলম্বন করছে। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ এবং গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করা হয়েছে। সাম্রাজ্যবাদী বহুজাতিক অবাধ লুটপাটের ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে প্রিয় মাতৃভূমি। এমন প্রেক্ষাপটে আগামী ২৫ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় সিপিবির দ্বাদশ কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সিপিবির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহ আলম, সহকারী সাধারণ সম্পাদক কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন, কংগ্রেস প্রস্তুতি কমিটির চেয়ারম্যান লক্ষ্মী চক্রবর্তী, আহ্বায়ক আবদুল্লাহ ক্বাফি রতনসহ অন্যান্য নেতা।
সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কংগ্রেস প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক আবদুল্লাহ ক্বাফি রতন।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ইতিমধ্যে সারাদেশে পার্টির সব শাখা, উপজেলা ও জেলা কমিটির সম্মেলন হয়েছে। জেলা কমিটিগুলোর সম্মেলনে ৪৮৭ জন প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন। কংগ্রেসের উদ্বোধনী অধিবেশনে সর্বমোট ২২৯ জন ভেটারেন কমরেডকে সংবর্ধনা দেয়া হবে।
২৫ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টায় উদ্বোধনী সমাবেশের পর বিকাল ৩টায় সাংগঠনিক অধিবেশন শুরু হবে এবং চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি বিকেল পর্যন্ত।