সিএনজি অটোরিকশায় যাত্রী সেজে নকল সোনার বার দেখিয়ে গয়না ও টাকা নিয়ে পালানোর সময় এক প্রতারককে জাপটে ধরে চিৎকার দেন গৃহবধূ। পাশেই ছিল র্যাবের টহল দল। এ সময় প্রতারক চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করা গেছে, পালিয়েছে দুজন।
ময়মনসিংহ নগরীর শম্ভুগঞ্জ এতিমখানা এলাকায় সোমবার বেলা ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ র্যাব-১৪ কার্যালয় থেকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, ময়মনসিংহ সদরের হরিরামপুরের বাদল চৌহান এবং নগরীর দিঘারকান্দা এলাকার ফেরদৌস।
ময়মনসিংহ র্যাব-১৪-এর সহকারী পুলিশ সুপার বেলায়েত হোসেন জানান, সোমবার রোকসানা বেগম নামের এক নারী নগরীর কৃষ্টপুর বাবার বাড়ি থেকে স্বামীর বাড়ি ফুলপুরে যেতে নগরীর পাটগুদাম ব্রিজ মোড়ে আসেন। এ সময় একটি সিএনজি অটোরিকশায় যাত্রী সেজে প্রতারক চক্রের চারজন বসেছিলেন। রোকসানা চালকের সঙ্গে ভাড়া ঠিক করে অটোরিকশায় ওঠেন।
ব্রিজের ওপর যেতেই অটোরিকশায় বসে থাকা বাদল চৌহান দুটি নকল সোনার বার বের করে নিজেদের মধ্যে আলাপ শুরু করেন। বাদল বলেন, রাস্তায় পড়ে থাকা ছোট ব্যাগের ভেতর দুটি সোনার বার পাওয়া গেছে। বার দুটি তিন ভরির ও অনেক দামি।
বাদল রোকসানাকে বলেন, তার গলার চেইন, কানের দুল ও মোবাইলসহ কিছু টাকা দিলে সোনার বার দুটি দিয়ে দেবেন। রোকসানা এ কথা বিশ্বাস করে তার একজোড়া সোনার দুল, গলার চেইন ও ৫ হাজার টাকা বাদলকে দিয়ে নকল সোনার বার দুটি নেন।
র্যাব কর্মকর্তা বেলায়েত আরও জানান, অটোরিকশাটি নগরীর শম্ভুগঞ্জ পর্যন্ত গেলে ওই নারী বুঝতে পারেন, সোনার বার দুটি নকল। বাদলকে বার দুটি দিয়ে নিজের গয়না ও টাকা ফেরত চান রোকসানা। এ সময় প্রতারক চক্র অটোরিকশার গতি বাড়িয়ে পালানোর চেষ্টা করলে বাদলকে জাপটে ধরে চিৎকার দেন রোকসানা।
র্যাবের টহল দল আশপাশের লোকজনের সহায়তায় প্রতারক চক্রের দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে, অন্যরা দৌড়ে পালিয়ে যায়।
র্যাবের বেলায়েত আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত দুজন প্রতারণার কথা স্বীকার করেছেন। দীর্ঘদিন ধরে তারা এভাবেই প্রতারণা করে আসছেন। তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলার পর পুলিশে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ চক্রে জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।