নওগাঁর মহাদেবপুরে নেশার টাকার জন্য ভ্যানচালক হাসান আলীকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
হাসান আলী হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার মূল আসামি এখলাছ হোসেন পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।
মঙ্গলবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে নওগাঁর পুলিশ সুপার (এসপি) আবদুল মান্নান মিয়া এ তথ্য জানান।
এর আগে সোমবার বিকেল ৫টার দিকে নওগাঁর মান্দার ভালাইন ইউনিয়নের মদনচক গ্রাম থেকে এখলাছকে তার সহযোগীসহ গ্রেপ্তার করা হয়। ২১ বছর বয়সী এখলাছ মহাদেবপুরের সভাপুর পূর্বপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
সংবাদ সম্মেলনে এসপি আবদুল মান্নান মিয়া বলেন, ‘শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে চার্জার ভ্যান নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন হাসান আলী। পরদিন সকাল ৬টার দিকে মহাদেবপুরের গোফানগর শাবইল মোড়ে ধানক্ষেত থেকে হাসানের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়।’
এ ঘটনায় তার বাবা আহাদ আলী মহাদেবপুর থানায় মামলা করলে পুলিশ তদন্তে নামে।
এসপি বলেন, ‘এখলাছকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আসামিরা নিয়মিত নেশা করতেন। নেশা করার জন্য টাকার প্রয়োজন ছিল। এ কারণে ভ্যান ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে সন্ধ্যা ৭টার দিকে কুঞ্জবন মোড় পেট্রল পাম্পের সামনে থেকে ৩০ টাকা ভাড়ায় খাজুর বাজারে যাওয়ার কথা বলে তারা হাসানের ভ্যান ভাড়া করেন।
‘শাবইল মোড়ে পৌঁছালে তারা হাসানের গলায় ছুরি ধরে ভ্যান থামাতে বলেন। ভ্যান থামালে এখলাছ সহযোগীসহ নেমে হাসানের গলায় ছুরি চালিয়ে হত্যা করেন। তারা মরদেহ রাস্তার পাশে ধানক্ষেতে ফেলে ভ্যান নিয়ে চলে যান।’
নওগাঁর এসপি আরও জানান, সোমবার দুপুরে খাজুর ইউনিয়নের ছাতুনতলী হাটে রক্তমাখা একটি চার্জার ভ্যান দেখে লোকজন পুলিশকে জানায়। মহাদেবপুর থানা পুলিশ সেখান থেকে ময়নুল ইসলাম নামের একজনকে ভ্যানসহ আটক করে।
মইনুলকে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, শনিবার রাত ৯টার দিতে তার পরিচিত ভ্যানচালক এখলাছ হোসেন ভ্যানটি এনে বিক্রি করে দিতে বলেন।
ময়নুলের দেয়া তথ্যর ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে মান্দা থেকে এখলাছকে গ্রেপ্তার করে। ১৬৪ ধারায় জবানবন্দির জন্য তাকে আদালতে নেয়া হবে বলে জানান এসপি।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান, সাবিনা ইয়াসমিন ও সুরাইয়া খাতুন, মহাদেবপুর থানার ওসি আজম উদ্দিন, সদর মডেল থানার ওসি নজরুল ইসলাম জুয়েল উপস্থিত ছিলেন।