রাজধানীর উত্তরায় একটি বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কায় সিদ্দিকুর রহমান নামে এক বাইকচালক নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনার জন্য পুলিশের গাড়িকে দায়ী করেছেন নিহতের স্ত্রী। তবে গাড়িটি শনাক্ত হয়নি।
রাজধানীর উত্তরা কসাইবাড়ি রেলগেট এলাকায় মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতের স্ত্রী পারভীন আক্তার বলেন, ‘আমার স্বামী বসুন্ধরা গ্রুপে গাড়িচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সকালে মোটরসাইকেল নিয়ে তিনি কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। পথে কসাইবাড়ি রেলগেটে দুর্ঘটনার শিকার হন। রাস্তায় পড়ে গিয়ে তিনি মাথায় আঘাত পান।
‘পুলিশের একটি গাড়ি তার মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিয়েছে বলে জানতে পেরেছি, তবে গাড়ির নম্বর জানি না।’
পরে পুলিশের লোকজনই আহত সিদ্দিকুর রহমানকে উদ্ধার করে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল নিয়ে যান বলে পরিবারের সদস্যরা দাবি করেন। সেখান থেকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হলে বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্বজনরা জানান, সিদ্দিকুরের বাড়ি নাটোর সদরের হবিসপুর গ্রামে। উত্তরার আজমপুর এলাকায় তিনি স্ত্রীসহ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে থাকতেন।
উত্তরা পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল ইসলাম মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত পুলিশের গাড়িতে দুর্ঘটনার তথ্য আমরা নিশ্চিত হতে পারিনি। ঘটনাস্থল পরিদর্শনসহ আশপাশের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। একটি লরির সঙ্গে ধাক্কা লেগে তিনি পড়ে যান বলে অনেকে বলেছেন।
‘পুলিশের বড় গাড়ি আছে, তবে তা পিকআপজাতীয়। কিন্তু পুলিশের লরি নেই। দুর্ঘটনার জায়গাটিতে সিসিটিভি ক্যামেরা নেই। তারপরও আমরা আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ নিয়ে গাড়ি শনাক্তের চেষ্টা করছি।’
গাড়িটি দ্রুতগতিতে চলে যাওয়ায় আটক করা সম্ভব হয়নি বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘দুর্ঘটনায় নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।’