‘বাবা হারানোর ধাক্কা সামলে ওঠার আগেই চলে গেলে ৫ ভাই। তাদের একসঙ্গে হারানোর বেদনায় কাতর পুরো পরিবার। সেই শোক কাটিয়ে ওঠার আগেই আবারও মৃত্যুর হানা। ৭ ভাইয়ের ৬ জনকে হারিয়ে এখন পুরুষশূন্য হওয়ার পথে আমার পরিবার। অথচ ঘটনায় জড়িত পিকআপচালকের দৃশ্যমান কোনো বিচার দেখছি না। তার ফাঁসি চাই।’
কান্নাজড়িত কণ্ঠে এসব কথা কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আল আমিন পারভেজকে বলছিলেন ৬ ভাই হারানো মুন্নী সুশীল।
তিনি বলেন, ‘আমরা সাত ভাই ও দুই বোন পিচঢালা রাস্তা থেকে কমপক্ষে ৩ থেকে ৪ ফুট দূরে দাঁড়িয়ে ছিলাম। বেপরোয়া পিকআপ ভ্যানটি দ্রুত এসে আমাদের চাপা দেয়। তখন আমি ও প্লাবন ছিটকে পড়ি। দেখি পিকআপটি পেছনে এসে আবার চাপা দেয়। পরিকল্পিত না হলে এটি পেছনে এসে আবার কেন চাপা দিল?’
তিনি আক্ষেপের সঙ্গে বলেন, ‘১৪ দিন পরও গাড়ির মালিককে ধরতে পারেনি পুলিশ। তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করা হচ্ছে না। আমার তো সবকিছু রহস্যজনক মনে হয়।’
তাকে সান্ত্বনা দিয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আল আমিন পারভেজ বলেন, ‘চালককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদেরও আইনের আওতায় আনা হবে। সে যেই হোক আইনের বাইরে কেউ নয়। আমরা আপনাদের পাশে আছি, সব সময় থাকব।’
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেপি দেওয়ান, চকরিয়ার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওসমান গণি, ডুলাহাজারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাসানুল ইসলাম আদরসহ আরও অনেকে।