বরিশালের গৌরনদীতে পুকুর থেকে ৪৫ দিন বয়সী মেয়েশিশুর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় মাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জিনের নির্দেশে সন্তানকে হত্যার কথা ওই নারী স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছেন গৌরনদী মডেল থানার এসআই হারুন-অর রশিদ।
মৃত শিশুর নাম রুকাইয়া। সে কমলাপুর গ্রামের দেলোয়ার হোসেন মেলকার ও সীমা বেগম লিপি দম্পতির মেয়ে।
গৌরনদীর খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের বাদুরতলা উমেদআলী গ্রামে নানা বাড়ির পুকুর থেকে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি রুকাইয়ার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই হারুন মঙ্গলবার দুপুরে জানান, ঘটনাস্থল পরির্দশন করে শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশের সন্দেহ হয়। ময়নাতদন্তে শ্বাসরোধে হত্যার আলামত পাওয়া যায়।
এসআই জানান, হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সীমাকে সোমবার দুপুরে থানায় নেয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে রাতে হত্যার কথা স্বীকার করেন তিনি। পুলিশকে জানান, গলা টিপে হত্যার পর মেয়ের মরদেহ তিনি পুকুরে ফেলে দেন।
এসআই নিউজবাংলাকে বলেন, ‘তিনি (সীমা) জানিয়েছেন, তার কাছে নাকি জিন আসে। তখন তিনি পৃথিবীর সব কিছু ভুলে যান। যা কিছু হয়েছে তার (জিনের) নির্দেশে হয়েছে বলেও সীমা বেগম স্বীকার করেন।’
- আরও পড়ুন: নানাবাড়ির পুকুরে ১ মাসের শিশুর মরদেহ
গৌরনদী মডেল থানার ওসি আফজাল হোসেন জানান, শিশুর বাবার করা মামলায় মঙ্গলবার সীমাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘মানসিক সমস্যা ওই নারীর ছিল বলে শুনেছি। জিনের তো কোনো বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই। অন্য কোনো কারণ আছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
সীমার মানসিক সমস্যা ছিল কি না জানতে তার স্বামী দেলোয়ারকে কল করা হয়।
দেলোয়ার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘তিন বছর আগে প্রথম ছেলে হওয়ার পর কিছুটা মানসিক সমস্যা ছিল। পরে ঠিক হয়ে গিয়েছিল। এখন আবার নতুন করে কী হয়েছে সেটা আমরা তো কিছুই জানতাম না।’