বগুড়ায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ ও মাদক মামলায় দুই নারীসহ পাঁচজনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক আহমেদ শাহরিয়ার তারিক সোমবার দুপুরে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বগুড়া শহরের জলেশ্বরীতলা ও সূত্রাপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে সোমবার দুপুরে তাদের আটক করে র্যাব। এ সময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ইয়াবা।
পরে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে র্যাব। দুটি মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে এদিন দুপুরে আসামিদের আদালতে তোলে পুলিশ।
র্যাবের ভাষ্য, তারা নিজেরাই ঘনিষ্ঠ হয়ে পর্নোগ্রাফি ভিডিও তৈরি করতেন। এ সময় তাদের কাছে থেকে পর্নোগ্রাফি তৈরির নানা সরঞ্জাম ও ১৫ পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়।গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- নওগাঁ রানীনগর উপজেলার ৪০ বছর বয়সী আতাউর রহমান রানা, চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার ২৪ বছর বয়সী রুম্পা আক্তার, সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা উপজেলার ২০ বছর বয়সী সাথী খাতুন, বগুড়া সদরের সাবগ্রামের ৩৯ বছর বয়সী স্বপন এবং আদমদীঘি উপজেলার কয়াকুন্টি গ্রামের ২৫ বছর বয়সী হানিফ প্রামাণিক।র্যাব-১২ সদর কোম্পানির মিডিয়া অফিসার (সহকারী পুলিশ সুপার) মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, গ্রেপ্তার পাঁচজন বগুড়া শহরের জলেশ্বরীতলা ও সূত্রাপুর এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে পর্নোগ্রাফি ভিডিও তৈরি করে আসছিলেন।
অভিযানে তাদের কাছ থেকে পর্নোগ্রাফি ভিডিও তৈরির কাজে ব্যবহৃত দুটি ল্যাপটপ, দুটি পেনড্রাইভ, দুটি আলোকসজ্জা লাইট, একটি সাউন্ড বক্স, একটি চার্জার ব্যাটারি, দুটি এলইডি লাইট, আটটি মোবাইল ফোন, বিভিন্ন সেক্স টয় এবং পর্নোগ্রাফি তৈরিসংক্রান্ত চুক্তিনামা উদ্ধার করা হয়।
র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা তাদের অপরাধ স্বীকার করেন। পরে বগুড়া সদর থানায় তাদের বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দুটি মামলা করা হয়।এ বিষয়ে জানতে চাইলে বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেলিম রেজা জানান, মামলার পর সোমবার রাতে তাদের থানায় হস্তান্তর করে র্যাব। মঙ্গলবার দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।