রাজধানীর মতিঝিল থানায় করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের এক মামলায় শিশুবক্তা খ্যাত রফিকুল ইসলাম মাদানীসহ দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছে আদালত। এর মধ্য দিয়ে মামলাটির বিচার কার্যক্রম শুরু হলো।
মঙ্গলবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেন আসামির অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে এই আদেশ দেন। আগামী ৩০ মার্চ সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হবে বলে জানান তিনি।
মামলার অন্য আসামি হলেন মাহমুদুল ইসলাম মতুর্জা।
রাষ্ট্রপক্ষে বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর নজরুল ইসলাম শামীম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিন শুনানির সময় মাদানীকে কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। জামিনে থাকা মাহমুদুল ইসলাম মতুর্জাও উপস্থিত ছিলেন।
মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র, সরকার, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অবমাননা ও মানহানিকর বক্তব্য দেয়ার অভিযোগ আছে। বলা হয়, এই বক্তব্যের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির আশঙ্কা তৈরি হয়।
গত বছরের ৮ এপ্রিল ধানমন্ডির ১৫ নম্বর মিতালী সড়কের বাসিন্দা সৈয়দ আদনান হোসেন রফিকুল মাদানীর বিরুদ্ধে মামলাটি করেন।
এই মামলায় ২০২১ সালের শেষের দিকে তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে ২০২১ সালের ২৫ মার্চ বিক্ষোভকালে ঢাকার মতিঝিল এলাকা থেকে রফিকুল ইসলাম মাদানীকে আটক করলেও পরে তাকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।
এরপর একই বছর ৭ এপ্রিল নেত্রকোণার বাড়ি থেকে তাকে আটক করে র্যাব। পরদিন তাকে গাজীপুর মহানগর পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর গাছা থানায় করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর থেকে তিনি বন্দি।