দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছে আদালত।
ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ কে এম ইমরুল কায়েশ মঙ্গলবার মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করে আদেশ দেন। এ সময় আসামিরা আদালতে ছিলেন।
আগামী ১৬ মার্চ অভিযোগের বিষয়ে শুনানির তারিখ ঠিক করে মামলাটি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এ বদলির আদেশ দেন বিচারক।
দুদকের কোর্ট ইন্সপেক্টর আমিনুল ইসলাম তথ্যটি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন।
এ মামলার অন্য পাঁচ আসামি হলেন- রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ ওরফে সাহেদ করিম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক ডা. আমিনুল হাসান, উপপরিচালক ডা. মো. ইউনুস আলী, সহকারী পরিচালক ডা. মো. শফিউর রহমান ও গবেষণা কর্মকর্তা ডা. মো. দিদারুল ইসলাম।
আসামিদের মধ্যে সাহেদ কারাগারে আছেন।
আরও একাধিক মামলায় তার বিচার চলছে। এদিন তাকে কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়।
জামিনে থাকা আবুল কালাম আজাদসহ পাঁচ আসামি আদালতে হাজিরা দেন।
গত বছর আবুল কালাম আজাদসহ ছয়জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী।
অভিযোগপত্রে আসামিদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে লাইসেন্স নবায়নবিহীন বন্ধ হওয়া রিজেন্ট হাসপাতালকে ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতালে রূপান্তর, সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর ও সরকারি প্রতিষ্ঠান নিপসমের ল্যাবে ৩ হাজার ৯৩৯ কোভিড রোগীর নমুনা বিনা মূল্যে পরীক্ষা করার কথা থাকলেও টাকা নিয়ে পরীক্ষা করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
এ ছাড়া রিজেন্ট হাসপাতালের মিরপুর ও উত্তরা শাখার চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ড বয় ও অন্য কর্মকর্তাদের খাবার খরচ বরাদ্দের নামে ১ কোটি ৯৬ লাখ ২০ হাজার টাকার মাসিক চাহিদা তুলে ধরাসহ সমঝোতা স্মারকের খসড়া স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর উদ্যোগ নেয়ার অভিযোগ রয়েছে।
আসামিদের বিরুদ্ধে সর্বমোট ৩ কোটি ৩৪ লাখ ৬ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।
২০২০ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী। সেখানে আবুল কালাম আজাদকে আসামি করা হয়নি। তবে তদন্তে নাম আসায় অভিযোগপত্রে তার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।