লক্ষ্মীপুরে যৌতুক না পেয়ে এক গৃহবধূর মাথা ন্যাড়া করে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন চালানোর অভিযোগ উঠেছে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে।
এই অভিযোগে সোমবার সকালে মধ্য চররমনি এলাকা থেকে ননদ পাখি বেগমকে আটক করেছে পুলিশ।
নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) পলাশ কান্তি নাথ।
স্থানীয়দের বরাতে তিনি জানান, ভোলার ইলিশা এলাকার রুমা আক্তারের সঙ্গে সাড়ে ৩ বছর আগে লক্ষ্মীপুর সদরের চররমনি মোহন এলাকার মো. হাসানের বিয়ে হয়।
বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই শ্বশুরবাড়ির লোকজন ৩ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। এই টাকা দিতে না পারায় বিভিন্ন সময়ে তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় রোববার রাতে তার চুল ফেলে দেয়া হয়। ন্যাড়া করে দেয়ার পর হাত-পা বেঁধে তাকে নির্যাতন করে পালিয়ে যায় স্বামী, শাশুড়ি ও ননদ।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মনির হোসেন সজিবসহ এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে। বর্তমানে ওই নারী পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা হুমায়ন কবির বলেন, এ ঘটনার পর ওই নারী ভেঙে পড়েছে। এসব ঘটনার বিচার না হওয়ায় যৌতুকের দাবিতে প্রায়ই নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন নারীরা।
তবে আটকের আগে পাখি বেগম সাংবাদিকদের বলেন, ‘পারিবারিক কলহের কারণে তার স্বামী চুল কেটে দেয়। এ ঘটনার সঙ্গে তিনি জড়িত নন। অন্যায়ভাবে তাকে ফাঁসানো হচ্ছে।’
চররমনি ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মনির হোসেন সজিব বলেন, ‘যৌতুকের জন্য প্রায় রুমা আক্তারকে নির্যাতন করত স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন। গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়।’
এ ঘটনায় মামলা হবে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তি নাথ।