দেশে করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষা নিশ্চিতে ১০ কোটি ৩৩ লাখ মানুষকে প্রথম ডোজের টিকা দেয়া সম্ভব হয়েছে, যা টার্গেট জনসংখ্যার ৮৬ শতাংশ। প্রথম ডোজ দেয়া হয়েছে ৬১ শতাংশ এবং দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হয়েছে ৪৬ শতাংশ মানুষকে। টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়নের দিক থেকে বিশ্বের মধ্যে এখন বাংলাদেশের অবস্থান ১০তম।
রাজধানীর মহাখালী বাংলাদেশ কলেজ অফ ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস (বিসিপিএস) প্রাঙ্গণে ২৬ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী অনুষ্ঠেয় এক দিনে এক কোটি কোভিড-১৯ টিকাদান কর্মসূচিবিষয়ক এক সংবাদ সম্মেলন এ তথ্য জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘পরিস্থিতি এখন অনেকটা স্বস্তিদায়ক অবস্থায় এসেছে। গতকাল শনাক্তের হার ৭ শতাংশে ছিল, যা জানুয়ারি মাসে ৩৩ দশমিক ৩৭ শনাক্তে ছিল। গতকাল করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৯ জন, কিছুদিন আগেও দৈনিক ৪০ জনের ওপরে মারা গেছেন, শনাক্তও তখন ১৬ হাজারের ওপরে।
সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের হিসেবে বিশ্বে টিকাদানে শীর্ষ দেশগুলো। ছবি: ব্লুমবার্গ
তিনি বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশের টিকাদান কর্মসূচির নিয়মিত যে হালনাগাদ তথ্য, তার ওপরে ভিত্তি করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী গণমাধ্যম ব্লুমবার্গ বলছে, ৬৫টি দেশের মধ্যে টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ১০ নম্বরে রয়েছে। এ অবস্থায় এটা ভালো খবর। তাই আপনাদের বলব, আপনারা টিকা নিন, সুস্থ থাকুন।’
টিকা নেয়ার আহ্বান জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমার দেখেছি করোনা আক্রান্ত হয়ে যারা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে, তাদের ৮৫ শতাংশই টিকা নেয়নি। কাজেই টিকা নেয়া অনেক জরুরি।’