কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী মহাসড়কে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলপিজি) পরিবহন করা একটি ট্যাংকার উল্টে পড়ার ৩২ ঘণ্টা পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এর আগে রোববার বিকেলের কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী মহাসড়কে এলপিজি পরিবহন করা একটি ট্যাংকার উল্টে যায়। ফলে ঘটনাস্থলের দুই পাশে অন্তত ২০ কিলোমিটার সড়কজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েন দক্ষিণ ও উত্তরবঙ্গের ৩২ জেলায় যাতায়াতকারী যাত্রীরা।
কুষ্টিয়া চৌড়হাস হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইদ্রিস আলী বলেন, ‘মহাসড়কে যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে। রাস্তায় আছড়ে পড়া ১৭ টনের এলপিজি গ্যাসবাহী ট্যাংকার ক্রেন দিয়ে অপসারণ করা হয়েছে। এরপর মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হলো।’
প্রত্যক্ষদর্শী সালেহা খাতুন বলেন, একটি ট্রাককে পাশ কাটিয়ে যেতে গিয়ে একবার ডানে তারপর বামে কাত হয়ে পড়ে যায় গ্যাসের বড় গাড়িটি। ট্যাংকারটি আড়াআড়িভাবে সড়কের ওপর পড়ে থাকায় আটকে যায় যান চলাচল। দু’পাশে অন্তত ২০ কিলোমিটার সড়কজুড়ে সৃষ্টি হয় যানজটের। চরম দুর্ভোগে পড়ে দক্ষিণ ও উত্তরবঙ্গের ৩২ জেলায় যাতায়াতকারী যানবাহনগুলো।
ওসি বলেন, ‘উন্নত মানের বড় ক্রেন ছাড়া এই ট্যাংকার সরানো সম্ভব ছিল না। পরে কুষ্টিয়া ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ও পাবনা থেকে আসা ক্রেনের চালকসহ কর্মীরা মহাসড়কটি সচল করতে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে প্রায় ৩২ ঘণ্টা পর যান চলাচল শুরু হয়।’
আগের দিন রোববার রাতে পাবনার জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের একদল রাশিয়ান প্রকৌশলী দুর্ঘটনাস্থলে এসে বিস্ফোরণের ঝুঁকির কথা জানিয়ে ফিরে যান।
কুষ্টিয়া ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক জানে আলম বলেন, ‘বিস্ফোরণ হলে যাতে ক্ষতি না হয়, সে জন্য উভয় পাশে বালু স্তুপ করে রাখা ছিল। দুটি ইউনিট পাশের পুকুরে ইঞ্জিন বসিয়ে পানির লাইন রেডি করে রাখা ছিল।’