বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

৪০ দিন পর উঠল বিধিনিষেধ

  •    
  • ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১০:২৬

মঙ্গলবার সকাল থেকে দেশে অফিস-আদালত, ব্যবসা-বাণিজ্য, পর্যটনকেন্দ্র পুরোদমে খুলে দেয়া হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সকাল থেকেই শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের ছিল ভিড়।

করোনাভাইরাস পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার ৪০ দিন পর তুলে দেয়া হলো সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে দেয়া ১১ দফা বিধিনিষেধ। একই সঙ্গে খুলে দেয়া হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বিধিনিষেধ উঠলেও মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি, বাধ্যতামূলকভাবে পরতে হবে মাস্ক।

মঙ্গলবার সকাল থেকে দেশে অফিস-আদালত, ব্যবসা-বাণিজ্য, পর্যটনকেন্দ্র পুরোদমে খুলে দেয়া হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সকাল থেকেই শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের ছিল ভিড়। সবার মধ্যেই ছিল খুশির ঝিলিক।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, করোনাভাইরাসের প্রথম দুই ঢেউ যেভাবে আতঙ্ক ছড়িয়েছে, সে রকম হয়নি তৃতীয় ঢেউ। ব্যাপক সংক্রমণ হলেও তুলনামূলক কম প্রাণঘাতী বলে করোনার ওমিক্রন নিয়ে ভীতি বেশ কম। যেভাবে দ্রুতগতিতে সংক্রমণ ছড়িয়েছে, তেমনই দ্রুতগতিতে নিয়ন্ত্রণের পথে।

ওমিক্রনের ধরন ডেল্টা ধরনের চেয়ে তুলনামূলক দুর্বল। আক্রান্তদের মধ্যে শারীরিক জটিলতা কম থাকায় মৃত্যু কম। একই সঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রবণতা অনেক কম ছিল।

গত ৭ জানুয়ারি নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৫ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়। পরে তৃতীয় ঢেউ ছড়ানোর যে আশঙ্কা করা হয়েছিল, সেটি ২০ জানুয়ারি বাস্তবে রূপ নেয়। এরপর আরও আট দিন শনাক্তের হার থাকে ঊর্ধ্বমুখী।

একপর্যায়ে তা ৩৩ শতাংশ ছাড়িয়ে রেকর্ড গড়ে ২৮ জানুয়ারি। ৩০ দিনের মধ্যে সংক্রমণ কমে ৬ শতাংশের ঘরে প্রবেশ করেছে। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সপ্তাহের মধ্যে ৫ শতাংশের নিচে আসবে। আগামী মাসে প্রথম সপ্তাহে এই ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসবে ধারণা করা হচ্ছে।

জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআরের উপদেষ্টা ও প্রতিষ্ঠানটির সাবেক বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মুশতাক হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, বিধিনিষেধ উঠলেও কঠোরভাবে মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি। দেশে একজন করোনা রোগী থাকা পর্যন্ত করোনা নিয়ন্ত্রণে এসেছে এটা বলা যাবে না।

তিনি বলেন, ‘এই মাসের মধ্যেই করোনা সংক্রমণের হার হয়তো ৫ শতাংশের নিচে চলে আসবে, তবে আমাদের সাবধান থাকতে হবে। সবাইকে টিকা নিতে হবে। যারা নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছেন তাদের সুচিকিৎসা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হবে, তাদের মাধ্যমে যেন অন্যরা আক্রান্ত না হন।’

জনস্বাস্থ্যবিদ আবু জামিল ফয়সাল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘তৃতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসার পর আরেকটি ঢেউ আসবে না, এটা বলা যাবে না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যত দিন না বলবে পৃথিবী থেকে করোনা চলে গেছে, তত দিন আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে, মাস্ক পরতে হবে। সামাজিক দূরুত্ব নিশ্চিত করতে হবে।’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আস্তে আস্তে জনজীবন স্বাভাবিক হবে। এই মাসের মধ্যে ৭০ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনা সম্ভব হবে। করোনা পরিস্থিতি উন্নতি হওয়ার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। নতুন করে কোনো বিধিনিষেধ দেয়ার চিন্তা নেই সরকারের। টিকা ও স্বাস্থ্যবিধি মানার ওপরে জোর দিতে হবে।’

২০২০ সালে ৮ মার্চ দেশে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। এরপর ক্রমেই করোনা বাড়তে বাড়তে জুন-জুলাইয়ে ওঠে সর্বোচ্চ পর্যায়ে। শীতে আরও বাড়বে- এমন আশঙ্কা থাকলেও গত বছরের ডিসেম্বর থেকে সংক্রমণ ক্রমেই কমতে থাকে।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে ভাইরাসটির ওমিক্রন ধরন সংক্রমণ বাড়াতে থাকে। ১১ জানুয়ারি সরকার ১১ দফা বিধিনিষেধ দেয়। যদিও এবারের বিধিনিষেধ কাগজে-কলমেই ছিল, বাস্তবে তেমন কিছু চোখে পড়েনি।

এ বিভাগের আরো খবর