বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শহীদ মিনারে আ. লীগের ২ পক্ষে হামলা-ভাঙচুর

  •    
  • ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ২২:৩১

পাকুন্দিয়া থানার ওসি বলেন, ‘সোহরাব উদ্দিনের লোকজন শহীদ মিনার থেকে আশপাশের বাড়িঘরে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায় পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।’

অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে শহীদ মিনারে ফুল দেয়াকে কেন্দ্র করে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছেন।

সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পাকুন্দিয়া সরকারি কলেজ শহীদ মিনারে সাবেক ও বর্তমান সাংসদের সমর্থকদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।

জেলা শ্রমিক লীগের উপদেষ্টা আতাউল্লাহ সিদ্দিক মাসুদ বলেন, ‘সকালে আমরা শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে যে যার মতো বাসায় চলে যাই। পাকুন্দিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক সোহরাব উদ্দিনের লোকজন শহীদ মিনারে এসে আশপাশে আমাদের কর্মী-সমর্থকদের বাড়িঘরে হামলা চালান। তারা বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ভাঙচুর করেন। এ সময় ৪ জন আহত হয়েছেন।’

পাকুন্দিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রেনু বলেন, ‘সোহরাব বাড়ি থেকে লাঠিসোটা ও ইট গাড়িতে করে এনে শহীদ মিনারে ঢুকেছেন। ফুল দেয়া শেষে শহীদ মিনারের পাশে আমাদের নেতাকর্মীদের বাড়িতে হামলা করেন।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক নেতা বলেন, ‘আতাউল্লাহ ও রফিকুল দুজনই এখন কিশোরগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদের সমর্থক। অতীতে তারা একে অপরের বিরুদ্ধে ছিল, তবে সাবেক এমপি সোহরাব উদ্দিনকে ঠেকাতে তারা ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন।’

তিনি বলেন, ‘এই আসনের সাবেক সাংসদ সোহরাব উদ্দিনকে উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ঘোষণা করার পর থেকেই দুই গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলছে।’

এ সব অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট বলে দাবি করেছেন সোহরাব উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘একই সময়ে গেলে তাদের সঙ্গে ঝামেলা হতে পারে ভেবে আমি শহীদ মিনারে ফুল দিতে গিয়েছি সবার পরে। আমার সঙ্গে হাজারও নেতাকর্মী ছিলেন। শহীদ মিনারে গিয়েছি শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে, মারামারি করার জন্য নয়।’

তিনি বলেন, শহীদ মিনারে ফুল দিতে যাওয়ার সময় নূর মোহাম্মদের সমর্থকরা আমার লোকজনের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেছেন। এতে আমাদের ৬ জন আহত হয়েছেন।’

পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সারোয়ার জাহান বলেন, ‘সোহরাব উদ্দিনের লোকজন শহীদ মিনার থেকে আশপাশের বাড়িঘরে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায় পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।’

এ বিভাগের আরো খবর