মায়ের ভাষার মর্যাদা নিশ্চিত ও সমুন্নত রাখতে ‘অনলাইনের ভাষা’ শীর্ষক ক্যাম্পেইন শুরু করেছে দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোন।
সোমবার প্রতিষ্ঠানটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বীরত্বপূর্ণ আত্মত্যাগ ও ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলন আমাদের নিজেদের ভাষায় কথা বলার স্বাধীনতা দিয়েছে। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসটি নিপীড়িত বাঙালি জাতির একটি পরিচয়ে পরিণত হয়েছে, মাতৃভাষার জন্য রক্তদান করা সাহসী জাতি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছি আমরা।
মাতৃভাষার জন্য ভাষা শহীদদের আত্মত্যাগের সম্মানে টেক সার্ভিস লিডার ও ডিজিটাল বাংলাদেশের কানেক্টিভিটি পার্টনার গ্রামীণফোন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ‘অনলাইনের ভাষা’ শীর্ষক এই ক্যাম্পেইন চালু করেছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলা ভাষার নেতিবাচক ব্যবহার রুখতে স্টিকার ইমেজ ব্যবহারের মাধ্যমে তরুণদের মাঝে সচেতনতা তৈরির উদ্দেশ্যে এই ক্যাম্পেইন চালু করা হয়েছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলা ভাষা সঠিকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে না এবং তরুণ প্রজন্মও অনেক ক্ষেত্রে মাতৃভাষার সঠিক ব্যবহার থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। স্থানীয় ভাষা ও সংস্কৃতির ধারক-বাহক হিসেবে গ্রামীণফোন বাংলা ভাষার মূল্যবোধকে সমুন্নত রাখতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে।
গ্রামীণফোনের চিফ মার্কেটিং অফিসার সাজ্জাদ হাসিব বলেন, ‘অনলাইনের ভাষা আমাদের কাছে ক্যাম্পেইনের চেয়েও বেশি কিছু এবং আমাদের হৃদয়ের অনেক কাছের। দায়িত্বশীল করপোরেট সিটিজেন হিসেবে অনলাইন পরিসরে সবাইকে নিরাপদ রাখতে বিগত বছরগুলোতে আমরা সচেতনতামূলক উদ্যোগ নিয়েছি।
‘আমরা মনে করছি, ফেব্রুয়ারির বিশেষ এ মাসেও রক্তঝরা বাংলা ভাষার দায়িত্বশীল ব্যবহার নিশ্চিতে সচেতনতা বৃদ্ধিতে আমাদের এগিয়ে আসা উচিত। এ উদ্যোগে অংশগ্রহণ করতে এবং অনলাইনের ভাষার দায়িত্বশীল ব্যবহারে একে অন্যকে সহায়তা করতে সম্মানিত গ্রাহক, পার্টনার, পৃষ্ঠপোষক ও অংশীজনদের স্বাগত জানাই।’
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে গ্রামীণফোন ‘ভাষার প্রতি ভালোবাসা’ শীর্ষক একটি উদ্যোগ চালু করে। সঠিকভাবে বাংলা জানা থাকলে যে যোগাযোগের সীমাবদ্ধতা দূর হয় প্রতিষ্ঠানটির দীর্ঘদিনের এ বিশ্বাসের ওপরই গুরুত্বারোপ করে এ উদ্যোগটি।
এছাড়া ২০২০ সালে চালু হওয়া ‘কথাগুলো হারিয়ে না যাক শব্দের অভাবে’ প্রতিপাদ্যে গ্রামীণফোন একটি বিশেষ উদ্যোগ নেয়। এ উদ্যোগের মাধ্যমে গ্রামীণফোনের ওয়েবসাইট ও সেলফ সার্ভিস ডিজিটাল কেয়ার অ্যাপ মাইজিপিতে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষের জন্য গ্রাহকসেবা চালু করা হয়। এখানে শ্রবণ ও বাক-প্রতিবন্ধীদের জন্য সাইন-লাইন ডিজিট কেয়ার সুবিধা দেয়া হয়।