লক্ষ্মীপুরে অটোরিকশা চুরির অপবাদে মোবাইলে ডেকে নিয়ে গ্রিল ওয়ার্কশপের দুই শ্রমিককে মধ্যযুগীয় নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।
থানায় অভিযোগে বলা হয়, তাদের কাছ থেকে জোর করে স্ট্যাম্পে সই নিয়েছেন সহিদুল ইসলাম সুমন নামের এক কাউন্সিলর।
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে সোমবার বিকেলে শ্রমিক মো. ফারুক ও মো. হারুন তাদেরকে নির্যাতনের অভিযোগ করেন।
এক শ্রমিকের মা ওই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে বিকেলে সদর থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
এতে বলা হয়, রোববার রাতে শহরের কুটুমবাড়ির কাছে কাউন্সিলরের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। কাউন্সিলরের বিচার চেয়েছেন স্থানীয়রা।
দুই শ্রমিকের স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ফারুক ও হারুন কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় ফোনে তাদের দুইজনকে কাউন্সিলর সুমন তার ব্যক্তিগত কার্যালয়ে ডেকে নেন। তখন তাদের কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করা হয়।
চাঁদা না দেয়ায় অটোরিকশা চুরির অপবাদ দিয়ে দরজা-জানালা বন্ধ করে বৈদ্যুতিক তার দিয়ে তাদেরকে পেটানো হয়। মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনে আহত দুইজনকে পরিবার ও স্থানীয় লোকজন রাতে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।এ বিষয়ে কাউন্সিলর সহিদুল বলেন, ‘তাদেরকে মারধর করা হয়নি। এ ছাড়া চাঁদা দাবির বিষয়টি মিথ্যা ও বানোয়াট। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।’
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসীম উদ্দিন জানান, দুইজনকে মারধরের ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেয়া হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।