চাকরি দেয়ার নামে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে এক দম্পতিসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
সোমবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাব-১-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন কথিত সিনথিয়া সিকিউরিটি সার্ভিসেস লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সামসুন্নাহার ওরফে মায়া, তার স্বামী মো. জুয়েল ভূঁইয়া, কামরুজ্জামান ওরফে ডেনিস, ফারহানা ইয়াছমিন ওরফে সুবর্ণা আক্তার, মেহেদী হাসান, আল মামুন ওরফে মাসুদ ও তাজবির হাসান ওরফে লোহান।
তাদের কাছ থেকে পাঁচটি ভুয়া নিয়োগপত্র, ৮০টি জীবনবৃত্তান্ত ফরম, ভিজিটিং কার্ড, টাকা আদায়ের রসিদ, ১০১টি ভর্তির ফরম ও অঙ্গীকারনামা, ১৫টি আইডি কার্ড, তিনটি রেজিস্টার, আটটি মোবাইল ফোন ও নগদ ২০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন বলেন, ‘আকর্ষণীয় বেতনে চাকরি দেয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগে রাজধানীর উত্তরখান থানার আটিপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই চক্রকে গ্রেপ্তার করা হয়।
‘চক্রটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আকর্ষণীয় বেতনে চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিল। এই চক্রের মূল হোতা স্বামী-স্ত্রী।’
তিনি বলেন, ‘প্রত্যেকের কাছ থেকে ১২ হাজার ৫০০ করে আদায় করা হতো। এ পর্যন্ত তারা ৭০০ থেকে ৮০০ জনের সঙ্গে প্রতারণা করে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা।’
র্যাব জানায়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা সাবেক সেনা কর্মকর্তার বডিগার্ড, বাসাবাড়ির নিরাপত্তারক্ষী, সুপারভাইজারসহ বিভিন্ন পদে চাকরির বিজ্ঞাপন দিত। তাদের বিজ্ঞাপন দেখে যোগাযোগ করা হলে প্রথমে জীবনবৃত্তান্ত জমা নেয়া হতো। কয়েক দিন পর যোগাযোগ করে বলা হতো চাকরি হয়েছে।
তবে বিভিন্ন খাতের নামে সাড়ে ১২ হাজার টাকা জমা নেয়া হতো। এরপর চাকরি না দিয়ে তাদের বলা হতো তাদের মতো আরও চাকরিপ্রার্থী সংগ্রহ করতে। চাকরিপ্রার্থী সংগ্রহ করতে পারলে জনপ্রতি ১১০০ টাকা দেয়া হতো তাদের। মাসে অন্তত ১৪ জনকে সংগ্রহের টার্গেট দেয়া হতো।