বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কবি শামছুদ্দিনের পরিবারের পাশে জেলা প্রশাসন

  •    
  • ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৭:১৭

কবি শামছুদ্দিনের বড় ছেলে দেলোয়ার হোসেন খোকন বলেন, ‘জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাকে যে সহযোগিতা করা হলো তার জন্য আমি খুবই কৃতজ্ঞ। তবে আর্থিক সহায়তার চেয়ে আমাদের কাছে বড় বিষয় হলো বাবার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি। বাবা যদি রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পায় তাহলে আমি শান্তিতে মরতে পারব।’

ভাষা আন্দোলনের প্রথম গানের গীতিকার ও সুরকার লোক কবি শেখ শামছুদ্দিন আহমেদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসন।

ভাষা শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলার বৈটপুরে কবি শামছুদ্দিনের বাড়িতে যান জেলা প্রশাসক (ডিসি) আজিজুর রহমান।

পরিবারের খোঁজখবর নিয়ে তিনি কবির বড় ছেলে দেলোয়ার হোসেন খোকনকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি ইজিবাইক, তিন বান্ডিল টিন ও ৯ হাজার টাকা দেন। এর সঙ্গে ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে আরও ১৫ হাজার টাকা দেন।

এই সহায়তা পেয়ে খুশি খোকন ও তার পরিবার। খোকন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে খুবই আর্থিক কষ্ট নিয়ে বেঁচে আছি আমরা। সাইকেলে করে বাজারে বাজারে সুপারি বিক্রি করে সংসার চালাই। মাঝে দুর্ঘটনায় আহত হয়ে চলাফেরা প্রায় বন্ধ।

‘এই অবস্থায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাকে যে সহযোগিতা করা হলো তার জন্য আমি খুবই কৃতজ্ঞ। তবে আর্থিক সহায়তার চেয়ে আমাদের কাছে বড় বিষয় হলো বাবার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি। বাবা যদি রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পায় তাহলে আমি শান্তিতে মরতে পারব।’

ডিসি আজিজুর রহমান বলেন, ‘ভাষা আন্দোলন নিয়ে প্রথম গান রাষ্ট্রভাষার স্রষ্টা শেখ শামছুদ্দিন। ভাষা আন্দোলনে জনমত সৃষ্টির ক্ষেত্রে তার অবদান আছে। বিষয়টি আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানাব যেন তিনি ও তার পরিবার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পান।

‘জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তার পরিবারকে টাকা, টিন এবং ছেলেকে ইজিবাইক ও সুপারি ব্যবসার জন্য টাকা দেয়া হয়েছে। এই সহায়তা অব্যাহত থাকবে।’

ভাষা আন্দোলনের প্রথম গানের গীতিকার ও সুরকার লোক কবি শেখ শামছুদ্দিন আহমেদের কবর। ছবি: নিউজবাংলা

শামছুদ্দিনের লেখা ‘রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনও করিলিরে বাঙালি, তোরা ঢাকা শহর রক্তে ভাসাইলি’ গানটি ব্যাপক সমাদৃত হয়। অনুপ্রেরণা জোগায় একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর যোদ্ধাদেরও। স্বল্প সময়ে মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে গানটি।

ভাষা আন্দোলনের ৭০ বছর পার হলেও গানটির গীতিকার ও সুরকার হিসেবে তিনি কোনো রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পাননি। নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে ১৯৭৪ সালে মারা যান শামছুদ্দিন।

তাকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে নিউজবাংলা। এরপর বিষয়টি নজরে আসে জেলা প্রশাসনের। ডিসি নিজেই সোমবার তার বাড়িতে যান।

এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক খোন্দকার মোহাম্মাদ রিজাউল করিম, সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাব্বেরুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. শাহিনুজ্জামান, বেমরতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন টগর।

এ বিভাগের আরো খবর