দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার আরও কমে ৬ শতাংশে নেমেছে। সেই সঙ্গে এক দিনে মৃত্যু কমে ১০-এর নিচে এসেছে।
সর্বশেষ করোনা সংক্রমণের হার ১০ শতাংশের নিচে ছিল ১২ জানুয়ারি।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৯৭৪ জনের। মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। এ নিয়ে দেশে ভাইরাসটিতে মারা গেলেন ২৮ হাজার ৯৭৪ জন।
সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নতুন ১ হাজার ৯৭৪ জনের শনাক্তসহ দেশে মোট ১৯ লাখ ৩৫ হাজার ২৪২ জনের শরীরে এই ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৭৪টি ল্যাবে ২৮ হাজার ৯৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ। এখন পর্যন্ত শনাক্তের মোট হার ১৪ দশমিক ৬২ শতাংশ।
দেশে করোনার ওমিক্রন ধরন শনাক্ত হয় গত ১১ ডিসেম্বর। এরপর শনাক্ত ও শনাক্তের হার নিয়মিত বাড়তে থাকে। ২৮ জানুয়ারি শনাক্তের হার পৌঁছায় ৩৩ দশমিক ৩৭ শতাংশে। এটা করোনার ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সেরে ওঠা রোগীর সংখ্যা 8 হাজার ৬৭৪। এ পর্যন্ত ১৭ লাখ ৬৩ হাজার ২৫৮ জন সুস্থ হয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় যাদের মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে পাঁচজন পুরুষ ও চারজন নারী। মৃতদের মধ্য একজন শিশু রয়েছে। এ ছাড়া বিশোর্ধ্ব এক, চল্লিশোর্ধ্ব দুই, ষাটোর্ধ্ব তিন, সত্তরোর্ধ্ব এক ও অশীতিপর একজন।
বিভাগ অনুযায়ী সর্বোচ্চ ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগে। বাকি তিনজনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকা বিভাগে। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুশূন্য বাকি ছয় বিভাগ।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ বিশেষ করে সীমান্ত এলাকায় রোগী বেশি ছিল, তবে তৃতীয় ঢেউয়ে ঢাকায় বেশি করোনা শনাক্ত হয়েছে। ঢাকা বিভাগের ৬০ শতাংশের বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে এক দিনে। গত ২৪ ঘণ্টায় এই বিভাগে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৭ হাজার ৭৭২টি। এর বিপরীতে রোগী শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ২৯৯ জন।
করোনার তৃতীয় ঢেউ প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ের চেয়ে দ্রুত নিয়ন্ত্রণের পথে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের পর প্রায় সাড়ে তিন মাস নিয়ন্ত্রণে ছিল। এরপর গত বছরের ডিসেম্বরের শেষ দিকে রোগী বাড়তে শুরু করে।
ওমিক্রনের দাপটে রোগী শনাক্ত ও শনাক্তের হার দ্রুত বাড়তে থাকে। গত ৬ জানুয়ারি দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা হাজার ছাড়ায়। এর দুই সপ্তাহের মাথায় ২০ জানুয়ারি দৈনিক শনাক্ত ১০ হাজার ছাড়িয়ে যায়। তবে পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় মঙ্গলবার খুলে দেয়া হচ্ছে স্কুল-কলেজ। তুলে দেয়া হচ্ছে করোনা প্রতিরোধে দেয়া সব বিধিনিষেধ। তবে করোনা নিয়ন্ত্রণে নিশ্চিত করতে হবে সামাজিক দূরত্ব ও সঠিক নিয়মে মাস্ক পরতে হবে।