ভাষা আন্দোলনের চেতনাায় সমৃদ্ধ হয়ে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা আন্দোলনের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এমন প্রতিক্রিয়া জানান।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘২১ শে ফেব্রুয়ারি একটি আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় এসেছিল। যার সূচনা করেছিলেন আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এর পর তারই ধারাবাহিকতায় আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘আজকে স্বাধীনতাকে আরও অর্থবহ করা, এবং যে মুক্তির স্বপ্ন জাতির পিতা দেখিয়েছিলেন, সেই মুক্তি অর্জন, ভাষা আন্দোলনের সেই চেতনাকে ধারণ করে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। বঙ্গবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরণ করে তার কণ্যার নেতৃত্ব আমরা এগিয়ে যাচ্ছি, সেই ভাষা আন্দোলনের চেতনাকে বুকে ধারণ করে। ভাষা সংগ্রমী ও সকল ভাষা শহীদদের প্রতি আমি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই।’
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ভাষা আন্দোলন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে হয়েছিল। সে দিন বঙ্গবন্ধু কারাগারে ছিলেন বিধায় তিনি সেদিনের সমাবেশে উপস্থিত থাকতে পারেননি। তবে সিদ্ধান্ত তার নেতৃত্বেই হয়েছিল। এই ইতিহাস অনেকে জানে না। কিন্তু জানার প্রয়োজন রয়েছে।
‘বঙ্গবন্ধু কণ্যা শেখ হাসিনার ত্বরিত সিদ্ধান্তের কারণে ২১ শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’
এ সময় সাবেক তথ্যমন্ত্রী ও জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘ভাষা আন্দোলনের সিড়ির ওপরে দাড়িয়ে মুক্তিযুদ্ধ থেকে স্বাধীনতা হয়েছে। আমরা এখনও ভাষা আন্দোলনের চেতনা উপরে বাংলাদেশকে গড়তে পারিনি।
‘যারা ৭১এর মুক্তিযুদ্ধের মিমাংসিত বিষয় স্বীকার করে না। তাদের বাংলাদেশকে রাজনীতিতে থেকে বিতারিত করতে হবে।’
ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘একুশ আমাদের চেতনা। যারা ক্ষুদ্র জাতি স্বত্বা ও আদিদের সংস্কৃতির রক্ষার নিরিখে একুশে আজকের দিনে বিশেষ তাৎপর্য় বহন করে। আমি এই দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও ভাষা শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।’
জাতীয় পার্টির পক্ষে একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার বেদিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন দলের মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু।