বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীরকে জিনে ধরেছে বলে মত দিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
সেতুমন্ত্রী এবং তথ্যমন্ত্রীকে নিয়ে একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসের সূত্র ধরে এমন মত দেন হাসান মাহমুদ।
‘আপনারা বিএনপিকে এত ভয় পান কেন?’ শিরোনামে গত শুক্রবার বিএনপি মহাসচিবের নামে একটি ফেসবুক পেজ থেকে সেই স্ট্যাটাসে লেখা হয়- ‘ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দুজন মন্ত্রী রয়েছেন তারা প্রতিনিয়ত বিএনপিকে নিয়ে মিথ্যাচারে লিপ্ত থাকেন। একজন সেতুমন্ত্রী অন্যজন তথ্যমন্ত্রী। উনারা এমনভাবে কথা বলেন যেন, শুনলে মনে হয় একই কলের গান, একই রেকর্ড বাজাচ্ছেন। তাদের মূলকথা বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, বিএনপি নাই। তাদের প্রশ্ন করতে চাই- বিএনপিকে নিয়ে আপনারা এত ভীতু কেন? ভয় পান কেন? বিএনপি গণতন্ত্র ধ্বংস করেনি, গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে আওয়ামী লীগ। অতীতেও করেছে, এখনও করছে।’
বিএনপি মহাসচিবকে আক্রমণ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীর সার্চ কমিটি নিয়ে বলেছেন- এই কমিটিতে যারা আছেন তারা সবাই আওয়ামী লীগ। উনি কিভাবে আবিষ্কার করলেন যে, সবাই আওয়ামী লীগ।’
রোববার নাটোর শংকর গোবিন্দ স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।
সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান। সম্মেলনের শুরুতেই জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করে ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হয়।
এর আগে সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘যারা অপরাধ করছেন এবং দলের শৃংখলা নষ্ট করে বিশৃঙ্খলা তৈরি করছেন তাদের প্রত্যেকের নামের তালিকা প্রধানমন্ত্রীর কাছে আছে। তারা কোনোভাবেই দলে স্থান পাবেন না। কোনো চাঁদাবাজ, ভূমিদস্যু, দুর্নীতিবাজকে আওয়ামী লীগে প্রয়োজন নাই। যারা দুঃসময়ে দলের পাশে ছিলেন তারাই দলের জন্য থাকবেন।’
রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেন, ‘দীর্ঘ ৭ বছর পর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন হচ্ছে। এই সম্মেলনের পূর্ব মুহুর্তে যারা শ্লোগান দেয়া নিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছেন তাদের তালিকা প্রধানমন্ত্রীর কাছে আছে।’
বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী ছাড়া কারো নামে শ্লোগান না দেয়ার নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, ‘যার নামে শ্লোগান দেবেন তার উপর থেকে প্রধানমন্ত্রীর আশীর্বাদ চলে যাবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী, নতুন কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করে দেয়া হবে।’
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস এমপি’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা রাজশাহী সিটি মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কার্যকরী সংসদের সদস্য প্রফেসর মেরিনা জাহান এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শিমুল এমপিসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
সম্মেলনের শেষে নাটোর-৪ আসনের সাংসদ অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুসকে আবারও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম রমজানকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়।