বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শহীদ সালামের একমাত্র ছবি জাদুঘরের স্টোররুমে

  •    
  • ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ২৩:২৯

ভাষাশহীদ আব্দুস সালামের কোনো ছবিই আসলে ছিল না কারও সংগ্রহে। ৪৯ বছর পর স্বজনদের বর্ণনা শুনে একজন চিত্রশিল্পী এঁকেছেন তার মুখ। সেই ছবিটিই শহীদ সালামের ছবি হিসেবে মেনে নেয়া হয়েছে। মূল ছবিটি প্রদর্শিত না হয়ে এখন জাতীয় জাদুঘরের স্টোররুমে পড়ে আছে।   

মাথা ভর্তি ঘন কালো চুল। বাঁ দিকে সিঁথি কাটা। মোটা ভ্রুর নিচের জোড়া চোখের প্রতিবিম্ব, ঠিক বোঝা যায় না। ভরাট গালে পুরো ঠোঁট। ক্লিন শেভড, কিন্তু যত্ন করে ছাটা গোঁফ। এই চেহারার মানুষটিকে সবাই চেনেন ভাষা শহীদ সালাম হিসেবে।

তবে ’৫২-এর ফাগুনে আগুনঝরা দুপুরে বুকের রক্তে ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করা সালামের কোনো ছবিই আসলে ছিল না কারও সংগ্রহে। ভাষা আন্দোলনের ৪৯ বছর পর স্বজনদের বর্ণনা থেকে একজন চিত্রশিল্পী এঁকেছেন তার মুখ। সেই ছবিটিই শহীদ সালামের ছবি হিসেবে মেনে নেয়া হয়েছে।

২০০১ সালে বাঙালি জাতি প্রথমবারের মতো দেখতে পায় শহীদ আবদুস সালামকে। ভাই-বোনদের কাছ থেকে সালামের চেহারার বর্ণনা শুনে তার ছবিটি আঁকেন চিত্রশিল্পী শাহজাহান আহমেদ বিকাশ।

৩ ফিট বাই ২ ফিট ফ্রেমে অ্যাক্রেলিক রঙে আঁকা ছবিটির সঙ্গে শহীদ সালামের ৮০ ভাগের বেশি মিল রয়েছে বলে স্বীকৃতি দেন তার পরিবারের সদস্যরা। পরবর্তীতে শহীদ আবদুস সালামের ছবিটি জাতীয় জাদুঘরকে উপহার দেয়া হয়।

সালামের এই একমাত্র ছবিটিই জাতীয় ও আন্তর্জাতির পরিমণ্ডলে ভাষা আন্দোলন বা ভাষা শহীদদের স্মরণে আয়োজিত বিভিন্ন আয়োজন বা ব্যানারে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু মূল ছবিটি এখন পড়ে আছে জাতীয় জাদুঘরের স্টোররুমে।

জাদুঘর কর্তৃপক্ষের অবহেলায় শহীদ সালামের ছবিটি নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। দিনের পর দিন স্টোররুমে ফেলে রাখলে ছবি নষ্ট হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন এর শিল্পী শাহজাহান আহমেদ বিকাশ।

সালামের ছবি জাদুঘরের প্রদর্শনীতে না রেখে স্টোররুমে ফেলে রাখায় একজন ভাষাশহীদকে অসম্মান করা হচ্ছে বলে মনে করছেন তার পরিবারের সদস্যরা।

গত শুক্রবার জাতীয় জাদুঘর ঘুরে দেখা গেছে, তৃতীয় তলার ৩৮ নম্বর গ্যালারিতে রয়েছে ভাষা আন্দোলন ও ভাষা শহীদদের স্মৃতি। এতে রয়েছে শহীদ সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার ও শফিউরের আবক্ষ ভাস্কর্য, যা বানানো হয়েছে ২০১১ সালে। রয়েছে শহীদ বরকতের কিশোর বয়সের একটি ছবি, যা বরকতের মায়ের কাছ থেকে সংগ্রহ করা। রয়েছে সুরকার ও গীতিকার আলতাফ মাহমুদের ছবি ও গান। সাজানো আছে ভাষা আন্দোলনের কার্টুন ও কবিতা। আছে শহীদ সফিউর রহমানের গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর রক্তমাখা জামা ও জুতো। তবে কোথাও চোখে পড়েনি শহীদ সালামের ছবিটি।

জাদুঘরের তৃতীয় তলার ওই অংশে ২০১২ সাল থেকে নিরাপত্তার দায়িত্বে আছেন শান্তি মোহন চাকমা। তিনি জানান, প্রদর্শনীতে তিনি গত ১০ বছরের সালামের কোনো ছবি দেখেননি। এর আগে ছিল কিনা তিনি জানেন না।

ছবিটি কোথায় আছে জানতে মোবাইল ফোনে জাতীয় জাদুঘরের কিপার ড. বিজয়কৃষ্ণ বণিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রতিবেদক। তিনি শুরুতে বলতে পারেননি ছবিটি কোথায় আছে। তিনি প্রতিবেদককে ফোনে রেখেই তার অফিসের একজনের কাছে জিজ্ঞেস করেন, ‘আমাদের স্টোরে যে ছবিটি আছে, তা কি ভাষা শহীদ সালামের?’

নিশ্চিত হওয়ার পর বিজয়কৃষ্ণ বণিক বলেন, ‘হ্যাঁ একটি ছবি আছে সালামের। তবে সেটা পেইন্টিং, যা ভাস্কর রাসা জাদুঘরকে উপহার দিয়েছিলেন। ভাষা শহীদদের অন্যান্য স্মৃতির সঙ্গে শহীদ সালামের ছবিটিও আমাদের স্টোরে আছে।’

বিজয়কৃষ্ণ বণিক বলেন, ‘একজন শিল্পী এই ছবিটা এঁকেছিলেন। পরে জাদুঘরকে উপহার দেয়া হয়।’

শহীদ সালামের ছবিটি কেন প্রদর্শনীতে নেই, তার সঠিক কারণ জানাতে পারেননি জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ছবিটির শিল্পী শাহজাহান আহমেদ বিকাশ। তার একাধিক ছবি বিভিন্ন গ্যালারিতে রয়েছে। কিন্তু শহীদ সালামের ছবিটি কেন গ্যালারিতে নেই, তা জানি না। ছবিটিকে গ্যালারিতে রাখার ব্যবস্থা আমরা করব।’

শহীদ সালামের ছবি যেভাবে আঁকা হয়

ভাষা শহীদদের ভাস্কর্য বানানোর উদ্যোগ নেন ভাস্কর রাসা। কিন্তু শহীদ সালামের কোনো ছবি তিনি পাচ্ছিলেন না। সালামের গ্রামের বাড়ি, বাংলা একাডেমি, জাতীয় জাদুঘরে খোঁজ করেও ছবির সন্ধান না পেয়ে এই ভাষা শহীদের ছবি এঁকে নেয়ার উদ্যোগ নেন তিনি।

প্রথমে তিনি এই কাজটি করতে চেয়েছিলেন কয়েকজন শিল্পীকে শহীদ সালামের গ্রামের বাড়ি ফেনীতে নিয়ে গিয়ে। কিন্তু অর্থাভাবে সেটা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে শান্তা গ্রুপের চেয়ারম্যান খন্দকার জামিল উদ্দিন পৃষ্ঠপোষকতা করতে এগিয়ে আসেন।

সালামের দুই ভাই আবদুল করিম, আবদুস সোবহান ও বোন বলকিয়ত নেছাকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। ২০০১ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির সুইমিং পুলের পাশে ভাষা শহীদ সালামের ছবি আঁকার আয়োজন করা হয়। আর এই পুরো আয়োজনটি করেন ভাস্কর রাসা।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ভাই-বোনদের কাছে সালামের চেহারার বর্ণনা শুনে ছবিতে ফুটিয়ে তুলতে এই আয়োজনে অংশ নেন শিল্পী অলকেশ ঘোষ, আহমেদ শামসুজ্জোহা, আবদুল মান্নান, শেখ আফজাল, শাহজাহান আহমেদ বিকাশ ও রাজীব সিদ্দিকী। ছবি আঁকার এই আয়োজনটি উদ্বোধন করেন ভাষা শহীদ আবদুল মতিন।’

শহীদ সালাম দেখতে কেমন ছিলেন, তার বর্ণনা দেন স্বজনরা। তাদের বর্ণনা শুনে ছবি আঁকা শুরু করেন শিল্পীরা। সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে সালামের ছবি আঁকার এই আয়োজন।

ভাস্কর রাসা বলেন, ‘ছবি আঁকা শেষে সব পোর্ট্রেট পাশাপাশি রাখা হয়। ভাই-বোন ও স্বজনরা শিল্পী শাহজাহান আহমেদ বিকাশের তিন ফুট বাই দুই ফুট ফ্রেমের অ্যাক্রেলিকে আঁকা পোর্ট্রেটটি সিলেক্ট করেন। সেই ছবিতে শহীদ সালামের চেহারা সবচেয়ে বেশি ফুটে উঠেছে।’

শিল্পী শাহজাহান আহমেদ বিকাশের আঁকা শহীদ সালামের মূল পোর্ট্রেটটি সংরক্ষণের জন্য জাতীয় জাদুঘরে নেয়ার আগ্রহ দেখান তখনকার মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান। তার অনুরোধেই শহীদ সালামের ছবিটি জাতীয় জাদুঘরে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে হস্তান্তর করা হয় বলে জানান ভাস্কর রাসা।

যার ছবি কারও কাছে ছিল না, সেই ভাষা শহীদ আবদুস সালামের ছবি শুধু স্বজনদের মুখে বর্ণনা শুনে আঁকা তার শিল্পী জীবনের অন্যতম বড় কাজ বলে মনে করেন শিল্পী বিকাশ।

তিনি বর্তমানে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভ (ইউডা) এর চারুকলা বিভাগের চেয়ারপারসন।

শিল্পী বিকাশ বলেন, ‘এই কাজটা করা আমার জন্য সৌভাগ্যের ব্যাপার ছিল। আমরা সালামের ভাই বোনদের কাছে তার চেহারার বর্ণনা শুনে সালামকে ধারণ করার চেষ্টা করছিলাম। কীভাবে সালামকে আঁকা যায়, সেটা চেষ্টা করছিলাম। আমার কাজটা অনেক চ্যালেঞ্জ ছিল। যাদের সঙ্গে সালামের ছবি আঁকার কাজটি করছিলাম, তারা শিক্ষকতুল্য এবং শ্রদ্ধাভাজন গুণী শিল্পী।’

তিনি আরও বলেন, ‘সন্ধ্যায় আঁকা শেষে সবগুলো ছবিকে ডিসপ্লে করা হলো। প্রতিটি ছবি সালামের ছোট ভাই ও বোন অনেকক্ষণ ধরে দেখছিলেন। একটা ছবির কাছে গিয়ে তারা চিৎকার দিয়ে ওঠেন। তারা বলছিলেন, এটাই আমার ভাই। যেই ছবিটার সামনে গিয়ে তারা এটি বলেছিলেন, সেটি ছিল আমার আঁকা। ওই মুহূর্তটা আমার জন্য অনেক বড় একটা প্রাপ্তি।

‘সঙ্গে এক ধরণের অস্বস্তিও কাজ করছিল। যাদের সঙ্গে আমি আঁকছি, তারা সবাই শিক্ষকতুল্য। অনেক চ্যালেঞ্জ ছিল, কিন্তু এই চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করে যখন কাজ করেছি তখন আমার অসাধারণ অনুভূতি কাজ করছিল।

‘এর পরই মূল ছবিটি জাতীয় জাদুঘর সংরক্ষণ করে। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত সালামের যে ছবিটি আমরা দেখি, তা আমার আঁকা ছবিটিই ব্যবহৃত হচ্ছে। এটি আমার জীবনের উল্লেখযোগ্য কাজ বলে মনে করি।

ছবিটি স্টোররুমে ফেলে রাখায় ক্ষোভ

ভাষা শহীদ আবদুস সালামের ছবিটি জাতীয় জাদুঘর কর্তৃপক্ষ প্রদর্শনীতে না রেখে স্টোররুমে ফেলে রাখায় ক্ষুব্দ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন ছবিটি শিল্পী ও সালামের স্বজনরা।

ভাস্কর রাসা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ছবিটি যথাযোগ্য মর্যাদায় গ্যালারিতে না রাখা জাদুঘর কর্তৃপক্ষের অবহেলা ছাড়া কিছু নয়। বারবার বলেও এটা গ্যালারিতে আনানো যাচ্ছে না। একজন ভাষা শহীদের একমাত্র ছবি স্টোররুমে ফেলে রাখা, তাকে অপমান করা। আমি চাই, মর্যাদার সঙ্গে তার ছবিটি প্রদর্শিত হোক।’

সালামের ভাই আবদুল করিম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘একজন ভাষা শহীদের ছবি গোডাউনে ফেলে রাখা খুবই দুঃখজনক। আমার ভাইয়ের জীবন দানের মধ্য দিয়ে আমরা বাংলা ভাষা পেয়েছি। ছবিটি গোডাউনে ফেলে রেখে শহীদ সালামকে অপমান করা হচ্ছে। ভাষা শহীদ হিসেবে আমার ভাইয়ের নামটি সবার আগে উচ্চারিত হয়, আমরা চাই, তার ছবিটি যথাযোগ্য মর্যাদায় গ্যালারিতে রাখা হোক।’

শহীদ সালামের পরিচিতি

শহীদ সালাম ফেনী শহর থেকে প্রায় ১৫ কি.মি. পশ্চিমে দাগনভুঞা উপজেলার মাতুভূঞা ইউনিয়নের লক্ষ্মণপুর গ্রামে (বর্তমান সালাম নগর) ১৯২৫ সালে ২৭ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন।

সেখানে মাতুভূঞা করমূল্যা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে অষ্টম শ্রেণি পাস করে তিনি দাগনভূঞা কামাল আতাতুর্ক হাইস্কুলে নবম শ্রেণিতে ভর্তি হন। নবম শ্রেণিতে পড়াকালীন তিনি চাচাতো ভাই হাবিবের সহযোগিতায় ঢাকায় মতিঝিল ডাইরেক্টর অব ইন্ড্রাট্রিজ কমার্সে পিয়নের চাকরিতে যোগদান করেন।

১৯৫২-এর ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে সালাম কয়েক দিনের ছুটি কাটিয়ে বাড়ি থেকে ঢাকায় ফিরে আসেন। রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে ঢাকা তখন উত্তাল। আন্দোলন চলছিল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অফিস আদালত, রাজপথ সবখানে। সে আন্দোলন ২৭ বছরের যুবক আবদুস সালামের হৃদয়েও আন্দোলনের ডাক দিয়ে যায়।

একুশে ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে সারা দেশে আন্দোলনের প্রস্তুতি দিবস। ছাত্র জনতার এই আন্দোলনকে স্তব্ধ করে দেওয়ার জন্য তৎকালীন সরকার ১৪৪ ধারা জারি করে। সভা, সমিতি, মিছিল নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। কিন্তু বাংলার দামাল ছেলেরা এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়। তারা ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে মিছিল নিয়ে এগিয়ে যায়। বর্তমান কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় কর্তৃপক্ষের নির্দেশে পুলিশ মিছিলের উপর গুলি চালায়।

সেই মিছিলে রফিক, বরকত, জব্বার, সফিকসহ নাম না জানা আরও অনেকের সাথে সালামও গুলিবিদ্ধ হন। গুলিবিদ্ধ সালামকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সে দিন সন্ধ্যায় টেলিগ্রামে সালামের গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পায় তার পরিবার।

সালামের বাবা ফাজিল মিয়া, চাচাতো ভাই হাবিব উল্যাহ ও প্রতিবেশী মকবুল আহমেদ ২২ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় ছুটে আসেন। দীর্ঘ দেড় মাস ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থেকে ৭ এপ্রিল মারা যান সালাম। তার মরদেহ বাড়িতে নেয়ার চেষ্টা করা হলেও অবরোধ আর হরতালের কারণে সম্ভব হয়নি।

ঢাকার আজিমপুর গোরস্থানে নামাজে জানাজা শেষে অজুখানার উত্তর পাশে ৫-৬টি কবরের পর সালামের দাফন সম্পন্ন হয়। শহীদ সালামের চাকরিস্থলে তার ছোট ভাই আবদুস ছোবহান স্থলাবিষক্ত হন। স্বাধীনতার পর প্রতিষ্ঠানটি শিল্প দপ্তরে রূপান্তরিত হয়।

২০০৮ সালে ভাষা শহীদ আবদুস সালামের স্মৃতি রক্ষায় সালাম নগরে একটি স্মৃতি গ্রন্থাগার ও জাদুঘর নির্মাণ করা হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর