নওগাঁর মান্দায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সহিংসতার মামলায় গণেশপুর ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম বাবুল চৌধুরীসহ চারজনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
নওগাঁর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে রোববার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে মামলার ছয় আসামি আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন।
শুনানি শেষে বিচারক বিকাশ কুমার বসাক চেয়ারম্যানসহ চারজনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। মামলার অন্য দুই আসামি রশিদুল ইসলাম চৌধুরী ও নাজিম উদ্দিন মণ্ডলকে জামিন দেয়া হয়েছে।
চেয়ারম্যান ছাড়াও কারাগারে পাঠানো আসামিরা হলেন তার ছেলে সাব্বির চৌধুরী, শাহ আলম চৌধুরী বকুল ও মেহেদী হাসান মিঠুন।
নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী বিশ্বজিৎ কুমার।
তিনি জানান, নির্বাচনি সহিংসতার মামলায় এজাহারভুক্ত ৫৪ আসামি একই আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন। বাকি ৬ আসামি আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। তাদের মধ্যে চারজনকে কারাগারে পাঠানো হয় ও দুজনকে জামিন দেয়া হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পঞ্চম ধাপের ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গত ১২ নভেম্বর প্রতীক বরাদ্দের দিন গণেশপুর ইউনিয়নে দুই প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এতে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী হানিফ উদ্দিন মণ্ডল ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী শফিকুল ইসলাম বাবুল চৌধুরীর ৮ কর্মী-সমর্থক আহত হন। এ ঘটনায় নৌকাপ্রার্থীর কর্মী আবদুল হামিদ ১২ নভেম্বর রাতে শফিকুলসহ ৬০ জনের নামে মামলা করেন।
এদিকে আহতদের মধ্যে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মী ইমরান হোসেন রানা চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৮ নভেম্বর রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা যান।
রানার মৃত্যুর ঘটনায় তার মা রেজিয়া পারভীন নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী হানিফ উদ্দিন মণ্ডলসহ ১০৪ নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ২০০ জনকে আসামি করে মান্দা থানায় হত্যা মামলা করেন।