করোনা মহামারির কারণে বন্ধ থাকা প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগামী ২ মার্চ থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সশরীরে ক্লাস শুরু হবে।
রোববার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ কামাল হোসেনের সই করা অফিস আদেশ থেকে এ তথ্য জানা যায়।
এতে বলা হয়, ‘দেশে করোনা ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ৩ ফেব্রুয়ারির নির্দেশনা অনুযায়ী ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শ্রেণিকক্ষে পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী ১ মার্চ পর্যন্ত সব ধরনের সরকারি ও বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং কিন্ডারগার্টেনে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান বন্ধ থাকবে।
আদেশে বলা হয়, ‘আগামী ২ মার্চ থেকে দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা ও শ্রেণিকক্ষে পাঠদান কার্যক্রম চালুর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা গেল।’
এর আগে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুব রহমান তুহিন জানিয়েছিলেন, আগামী ১ মার্চ থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সশরীরে পাঠদান শুরু করা হবে। এ বিষয়ে শিগগিরই অফিস আদেশ জারি করা হবে।
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জানান, ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু হবে। তবে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের সশরীরে ক্লাস শুরু হতে ১০ দিন বা দুই সপ্তাহ লাগতে পারে বলে জানান তিনি।
ওই দিন মন্ত্রী বলেন, ‘১২ বছরের নিচে যারা, তাদের টিকাদানের বিষয়েও একটি উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। সেই কাজটিও আমরা যত দ্রুত পারি... এখানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদনের বিষয় আছে। সেগুলো আমাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর দেখছে।’
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয় সরকার। টানা দেড় বছর বন্ধ রাখার পর গত বছরের সেপ্টেম্বরে সব স্কুল-কলেজ খুলে দেয়া হয়। পরে ধাপে ধাপে খুলে যায় উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোও।
করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনের দাপটে গত ২১ জানুয়ারি ফের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দেয়া হয়। ঘোষণা অনুযায়ী ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা রাখা হবে।