করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ যে নিয়ন্ত্রণের পথে, সেটি আরও স্পষ্ট হলো। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন রোগী পাওয়া গেছে দুই হাজারের কম। আর পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার নেমেছে ৭ শতাংশের ঘরে।
শনিবার সকাল থেকে রোববার সকাল পর্যন্ত এক দিনে সারা দেশে ১ হাজার ৯৮৭ জন রোগী পাওয়ার কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ সংখ্যাটি গত ৯ জানুয়ারির পর সবচেয়ে কম।
করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে বাংলাদেশ ঢুকতে যাচ্ছে, এমন ইঙ্গিত দিয়ে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৫ শতাংশ ছাড়িয়ে যাওয়ার তিন দিনের মাথায় রোগী পাওয়া যায় ১ হাজার ৪৯১ জন।
করোনা পরিস্থিতির উন্নতির বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয় অন্য একটি তথ্যে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১২ জেলায় নতুন কোনো রোগী পাওয়া যায়নি।
এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ১৯ লাখ ৩১ হাজার ৩০৪ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৭ লাখ ৪৫ হাজার ৩৩২ জন।
পরীক্ষার বিপরীতে রোগীর অনুপাত বা শনাক্তের হার গত ২৮ জানুয়ারি ৩৩ শতাংশ ছাড়িয়ে রেকর্ড গড়ার পর দিন থেকেই টানা কমতে থাকা হার এবার নেমেছে ৭ দশমিক ৮২ শতাংশে। আগের দিনও এই হার ছিল ৮ দশমিক ৭১ শতাংশ। সেদিন ২৪ ঘণ্টায় রোগী ছিলেন ২ হাজার ১৫০ জন।
রোগীর সংখ্যার মতোই শনাক্তের হারও গত ৯ জানুয়ারির পর সর্বনিম্ন। সেদিন পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ছিল ৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
নমুনা পরীক্ষাও কমেছে। অর্থাৎ করোনার উপসর্গ এখন কম মানুষের মধ্যে দেখা গেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২৫ হাজার ৪০৫ টি। আগের ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল ২৪ হাজার ৯৯৮টি
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতিমালা অনুযায়ী শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে নামলে এবং পরপর দুই সপ্তাহ এই পরিস্থিতি থাকলে করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে ধরা হবে।
করোনা পরিস্থিতি উন্নতি হতে থাকায় আগামী মঙ্গলবার থেকে মাধ্যমিক স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে ক্লাস শুরু হচ্ছে। মাস্ক পরা ছাড়া জমায়েতের যত বিধিনিষেধ দেয়া হয়েছিল, সেটিও প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে।
করোনা পরিস্থিতির ক্রমেই উন্নতি হতে থাকলেও মৃত্যুর সংখ্যা সেই অনুপাতে কমছে না। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ২১ জনের মৃত্যুর তথ্য জানানো হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৯৪৪ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় রোগীর সংখ্যা ও শনাক্তের হার যে ৯ জানুয়ারির পর সর্বনিম্ন, সেদিন সারা দেশে মৃত্যু হয়েছিল তিনজনের।